এবার অভিভাবকদের জন্য স্বস্তির খবর। কারণ ৬ থেকে ১২ বছর বয়সি বাচ্চাদের জন্য কোভ্যাক্সিন টিকাকে ছাড়পত্র দিল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)।
কোভ্যাক্সিন নির্মাতা ভারত বায়োটেক ও কোভিশিল্ড নির্মাতা সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের যাবতীয় তথ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে দিয়েছিল। ১৯ জানুয়ারি সেই তথ্য নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করে কোভিড বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি। তারপরই তা বাজারে বিক্রি করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
ভারতে বুস্টার ডোজ পাওয়ার ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের মিক্সড অ্যান্ড ম্যাচ করা হবে না, জানালেন ডক্টর ভি কে পল (Dr VK Paul)। তাহলে, সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড (Covishield) না ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন (Covaxin), কোনটা পাবেন?
করোনা পরিস্থিতিতে সুখবর দিল ভারত বায়োটেক। ২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্যও তাদের তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকা সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ বলে দাবি করা হয়েছে সংস্থার তরফে। জানানো হয়েছে, কোভ্যাক্সিন নিরাপদ, সহিষ্ণু এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের দেওয়া হবে ভারত বায়োটেকের করোনা প্রতিশেধক টিকা। স্বাস্থ্যকর্মী ও সমাজের সামনের সারির কর্মীরা ও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের জন্যও আসছে বুস্টার ডোজ। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু কো-উইনে নাম নথিভুক্তকরন প্রক্রিয়া।
ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) তৈরি কোভ্যাক্সিনকে (Covaxin) ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য জরুরী অবস্থায় ব্যবহারের ছাড়পত্র দিল ডিসিজিআই (DCGI)। এর আগে জাইডাস ক্যাডিলার (Zydus Cadila) তিন-ডোজের ডিএনএ ভিত্তিক করোনা টিকাকেও (Coronavirus Vaccine) শিশুদের ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
ওমিক্রনের মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে ভারতে তৈরি কোভ্যাক্সিন। এমনই দাবি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-এর এক আধিকারিকের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের অর্থ হল ভারতের তৈরি এই করোনা টিকা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিতে স্বীকৃতি পাবে। যেসব ভারতীয়রা কোভ্যাক্সিনের টিকা নিয়েছেন তাদের জন্য আর বিশ্বের অন্যান্য দেশের দরজা বন্ধ থাকবে না।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে জরুরিকালীন ভিত্তিতে প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে কোভ্যাক্সিন।
কলকাতা পুরসভার হাতে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন টিকা আর নেই। যে পরিমাণ বেঁচে রয়েছে, তা দিয়ে খুব বেশি হলে আগামী দুদিন টিকা দেওয়া যাবে।