এয়ার ইন্ডিয়া ১৯শে ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করেছিল যে ২২, ২৪ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারি ভারত এবং ইউক্রেনের মধ্যে বিমান পরিষেবা দেবে। এয়ার ইন্ডিয়া বুকিং অফিস, ওয়েবসাইট, কল সেন্টার এবং অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে বুকিং খোলা আছে।
গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকার এয়ার ইন্ডিয়াকে টাটা গ্রুপের কাছে হস্তান্তর করেছিল। প্রায় ৬৯ বছর পরে এয়ার ইন্ডিয়া ফিরে গেল টাটা গ্রুপের কাছে। এয়ার ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ছিল এই বাণিজ্যিক সংস্থাটি। এয়ার ইন্ডিয়া টাটা গ্রুপের হাতে যাওয়ার পরেই সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, স্মার্ট ও সুসজ্জিত কেবন, ক্রু সদস্যদের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর হস্তান্তর হতেই এয়ার ইন্ডিয়া নতুন বিধি জারি করে ককপিট ক্রিউদের তরফে স্বাগত জানানো হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানের একাধিক নিয়ম বদলাতে চলেছে।
এয়ার ইন্ডিয়া যে টাটা গোষ্ঠীর হাতে যাচ্ছে তা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল মাস কয়েক আগেই। এরপর শুরু হয়েছিল সরকারীভাবে এয়ার ইন্ডিয়াকে টাটার হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
১৯৭৭ সালে জনতা সরকার ক্ষমতায় এসে টাটাদের হাত থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। এরপর থেকেই পতন শুরু হয় এয়ার ইন্ডিয়ার।
আসন্ন জানুয়ারি মাস থেকেই এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) চালাবে টাটা গ্রুপ (Tata Group)। কীভাবে এই উড়ান সংস্থাকে আগের গৌরব ফেরাবার পরিকল্পনা করল রতন টাটার (Ratan Tata) সংস্থা?
আগের নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কর্মীদের জন্য জাতীয় বিমান পরিবহন সংস্থার টিকিট বুক করতে হয় এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাতায়াতের জন্য।
টাটা গ্রুপ এয়ার ইন্ডিয়ার অকশনে বিড জিতেছে। এজন্য টাটাকে দিতে হবে ১৮ হাজার কোটি টাকা।
ঋণগ্রস্থ এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য টাটা গ্রুপ বিড জিতেছে বলে শুক্রবার সকালেই খবর প্রকাশিত হয়েছিল। ব্লুমবার্গ আগে জানিয়েছিল যে টাটা সন্স এয়ার ইন্ডিয়া অধিগ্রহণ করতে চলেছে।
খবর অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার নয়া মালিক হতে চলেছে টাটা গোষ্ঠী। এক মন্ত্রিগোষ্ঠী এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, টাটা সন্সের জমা দেওয়া দরপত্রটি গ্রহণ করা হয়েছে।