১৫ মে কোথায় পৌঁছবে দিল্লি-কলকাতার কোভিড রোগীর সংখ্যা, ভয় ধরাচ্ছে সরকারি হিসাব

১৫ মে কেমন থাকবে দেশের করোনা-চিত্র

কলকাতা, দিল্লি বা মুম্বইয়ের মতো শহরে কতজন হবেন আক্রান্ত

অঙ্ক কষে বের করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

এই পরিসংখ্যান কিন্তু ভয় ধরানোর মতো

amartya lahiri | Published : Apr 29, 2020 4:36 PM IST

কেন্দ্রীয় সরকারের হিসাব অনুসারে, ১৫ মে-র মধ্যে মুম্বই, আহমেদাবাদ, কলকাতা এবং দিল্লির সমস্ত জেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়তে চলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ভারতের প্রধান প্রধান শহর ও জেলাগুলিতে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা কোথায় পৌঁছকতে পারে তার একটি বিস্তৃত তালিকা তৈরি করেছে। সেই সঙ্গে জেলাগুলিতে বিচ্ছিন্নতা শয্যার সংখ্যা, আইসিইউ শয্যার সংখ্যা এবং ভেন্টিলেটর-এরও ঘাটতি হতে পারে বলে অনুমান মন্ত্রকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পাশাপাশি নীতি আয়োগের পক্ষ থেকেও গাণিতিক মডেলের উপর ভিত্তি করে ভারতের কোভিড-১৯ কোন জায়গায় পৌঁছতে পারে, তার আগাম পূর্বাভাস দিয়েছে।

মুম্বই: এই শহরে এদিনই আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ১৫ মে তারিখে ভাপরতের বামিজ্যিক রাজদানীতে কোভিড মামলার সংখ্যা ২৮,৮৫৯-এ পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। অর্থাৎ ১১ মের মধ্যেই শহরের বিচ্ছিন্ন শয্যা ও ভেন্টিলেটর-এর সংকট দেখা দিতে পারে।

পুনে: মহারাষ্ট্রের এই শহরে ১৫ মে কোভিড আক্রান্তচের সংখ্য়া হবে ৩৯৪৯, এমনটাই বেরিয়েছে অঙ্কের হিসাবে। এখানেও ১১ মে থেকে ভেন্টিলেটরের সংকট দেখা দিতে পারে।

থানে: তালিকা থাকা মহারাষ্ট্রের দ্বিতীয় শহরে কোভিড-১৯ মামলার সংখ্যা ১৫ মে ৪,১৮১ হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

দিল্লি: দিল্লি শহরে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে ৫,৫৩৭'এ পৌঁছতে পারে। তবে, আশার কথা রাজধানীতে অন্তত বিচ্ছিন্নতা শয্যা এবং আইসিইউ শয্যা কিংবা ভেন্টিলেটর-এর ঘাটতি হবে না।

আহমেদাবাদ: এখনকার পরিস্থিতি তেকে ১৫ মে-র মধ্যে আহমেদাবাদে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় চারগুণ বেড়ে ৯,১৬৮ হবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

সুরাত: ১৫ মে-র মধ্যে এই বন্দর শহরে ২৮৮৩ জন কোভি় আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরফলে ১৪ মে থেকে শহরে বিচ্ছিন্ন শয্যার সংকট দেখা দিতে পারে।

চেন্নাই: ১৫ মে তামিলনাড়ির রাজধানীতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩,৫০৭। ৯ মে থেকেই বিচ্ছিন্নতা শয্যার সংকট দেখা দিতে পারে।

ইন্দোর: মধ্যপ্রদেশের অন্যতম করোনা হটস্পট এই শহরে ১৫ মে করোনা মামলার সংখ্যা ২,৪৮৯'এ উঠতে পারে। তবে এই জেলার বিচ্ছিন্নতা শয্যার তথ্য এখনও পায়নি কেন্দ্র।

ভোপাল: মদ্যপ্রদেশের রাজধানীতে এই সময় কোভিড-১৯ মামলার সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ২,১৭৭-এ। তবে এখানেও কোনও শয্যা বা ভেন্টিলেটরের অভাব হবে বলে মনে হয় না।

কানপুর: উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এই মুহূর্তে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা মাত্র ১৭০। কিন্তু ১৫ মে-তে এটাই ৩,৪৬৩ জন হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। ৪ মে থেকেই ভেন্টিলেটর-এর অভাব ঘটতে চলেছে আর ১২ মে থেকে অভাব হবে আইসিইউ বেডের। বিচ্ছিন্নতা শয্যা কতগুলি রয়েছে সেই তথ্য এখনও কেন্দ্রের কাছে নেই।

আগ্রা: কানপুরের মতোই উত্তরপ্রদেশের আরেক জেলা আগ্রায় ৩৭১ থেকে রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১,২০০ হয়ে যেতে পারে। ১৪ মে থেকেই সেই ক্ষেত্রে আইসিইউ বেডের সংকটের মুখোমুখি হবে তাজমহলের শহর। তবে এখানে ভেন্টিলেটর-এর ব্যবস্থা কটি রয়েছে, সেই তথ্য পায়নি কেন্দ্র।

কলকাতা: ভারতের কোভিড-১৯ ট্র্যাকার অনুযায়ী কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১৮৪। এখান থেকে ১৫ মে-র মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২,৩৯৪ হয়ে যেতে পারে। আর ৮ মে থেকেই সিটি অব য়-তে আইসিইউ বেডের জন্য হাহাকার শুরু হতে পারে। কলকাতায় ভেন্টিলেটর ব্যবস্থা কটি রয়েছে সেই তথ্য নেই কেন্দ্রের কাছে। 

তবে সরকার এই আনুমানিক হিসাবের সঙ্গে জানিয়েছে, এটা সবচেয়ে খারাপ অবস্থার ছবি। এই ছবি রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, য়াতে তারা সবচেয়ে কারাপ অবস্থার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে পারে।

Share this article
click me!