করোনাভাইরাস LIVE, শনিবার ফের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক, লকডাউন বাড়ানোর ইজ্ঞিত প্রধানমন্ত্রীর

দিল্লির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ফের জরুরী বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল।

আগামী ১১ এপ্রিল করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

বুধবার রাত থেকে লখনউ, নয়ডা এবং গাজিয়াবাদসহ মোট ১৫টি জেলার সীমানা পুরোপুরি সিল করে দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এখনও অবধি ভারতে মোট ৪০২ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। বুধবার পর্যন্ত ভারতে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৫,১৯৪। আর মৃত্যু হয়েছে ১৪৯ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় রোগী বেড়েছে ৭৭৩ জন, এবং ৩২ জন মারা গিয়েছেন। এর আগে ভারতে একদিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণ জনিত কারণে এতজনের মৃত্যু হয়নি।

প্রথমে মহারাষ্ট্র, তারপর উত্তরপ্রদেশ - বুধবার ভারতের দুটি রাজ্যে প্রকাশ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হল। না পড়লে গ্রেফতার করা হবে।

৩১ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিল্ডিং এবং অন্যান্য নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণকর তহবিল-এর আওতায় নিবন্ধিত নির্মাণকর্মীদের এক হাজার থেকে ছয় হাজার টাকার নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২ কোটি নিবন্ধিত নির্মাণকর্মীদের মোট তিন হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব।

রফতানি করা হচ্ছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, যা করোনা-যুদ্ধে মোক্ষম হাতিয়ার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এতে করে ভারতে বর্তমানে বা ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে, কখনই দেশে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইকিন-এর অভাব হবে না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম-সচিব লব আগরওয়াল।

হাসপাতাল তৈরি এবং কোভিজ-১৯ রোগীদের উপর নজরদারি, সেইসঙ্গে তাদের সঙ্গে কাদের কাদের যোগাযোগ হয়েছিল সেই অনুসন্ধান - আপাতত এই তিন বিষয়ে রাজ্যগুলিকে মনোনিবেশ করতে বলল কেন্দ্র।

আইসিএমআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯'এর মোট ১,২১,২৭১টি পরীক্ষা হয়েছে।

কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেছেন, বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে প্রায় ৮০ শতাংশ রাজনৈতিক দলই লকডাউনের সময় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।

সর্বদলীয় বৈঠকে, কংগ্রেস কোভিড-১৯ সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের এবং প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের পরামর্শ দিয়েছে।

সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও দনেল, এখনকার পরিস্থিতি 'সামাজিক জরুরি অবস্থা'-এর মতো। এই সময় কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন এবং সকলকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

অন্যান্য দলের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন এই মুহূর্তে প্রত্যেক ভারতীয়ের জীবন বাঁচানোই তাঁর সরকারের অগ্রাধিকার।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, করোনভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে রুখতে সরকার ১৪ এপ্রিলের পরও লকডাউনের সময়সীমা বাড়াতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী জানান, রাজ্য, জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কোভিড-১৯'এর বিস্তার রোধে লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

১৪ এপ্রিল-এর পর প্রধানমন্ত্রী একধাক্কায় লকডাউন তোলা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সর্বদল বৈঠকের পর জানালেন বিজেডি নেতা পিনাকী মিশ্র।

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় চলছে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন। আর তার জেরে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র। সেইসব শিল্পক্ষেত্রের জন্য কয়েক লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক ত্রাণের প্যাকেজ আনতে চলেছে মোদী সরকার, এমনটাই সূত্রের খবর। এর আগে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র।

করোনা রোগীদের চিকিৎসা করার সময় ডাক্তারদের সহায়তা করতে রোবট বানাল ছাত্র।

সচেতনতা বাড়াতে হায়দরাবাদের পথে নামল করোনা গাড়ি।

 শহরের ফুটপাতেও এবার নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন শহরের দুই প্রান্তের দুই ফুটপাথবাসী। আর তাতেই ঘুম ছুটেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনের। একজনকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এবং অপরজনকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধারকারীদেরকেও ইতিমধ্যেই হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
 

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর।