করোনাভাইরাসে সংক্রমণের প্রভাবে রীতিমত ত্রস্ত ভারত। গোটা দেশেই কাঁপছে আতঙ্কে। পরিস্থিতি সামাল দিতে লকডাউনের পথে হেঁটেছে গোটা দেশ। এই অবস্থায় পিছিয়ে নেই আমাদের রাজ্যও। বন্ধ হয়ে গেছে দেশের লাইফলান। শুনাশান রেলওয়ে স্টেশন। একই ছবি বড়বড় বাসস্ট্যান্ড গুলিতে। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাস। ভিড় শুধু হাসপাতাল গুলিতে। যেখানে করোনার চিকিৎসা হচ্ছে সেখানে আর তিল ধরানোর জায়গা নেই। মঙ্গলবার রাত থেকে ভারতের আকাশে আর দেখতে পাওয়া যাবে না কোনও যাত্রীবাহী বিমান। কিন্তু জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এখনও প্রাণ হাতে করেই নামছেন রাস্তায়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মরিয়া সবাই।
করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে মহামারীর আকার ধারণ করেছে। চিকিৎসকরা বলছেন মৌসুমী ফ্লুর থেকে করোনাভাইরাস ১০ গুণ বেশি প্রাণঘাতী। আর আগে থেকেই যাদের কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সেইসব মানুষের ঝুঁকির পরিমাণ আরও বেশি। বর্তমানে বিশ্বের ৩ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত। প্রাণ গিয়েছে ১৬ হাজারেও বেশি। পরিস্থিতি যা তাতে আগামী দিনে বিশ্বের ১৪ লক্ষ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খারাপ পরিণতির শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের বিশেষজ্ঞরা। বয়স্কদের পাশাপাশি শারীরিকভাব সমস্যাগ্রস্ত লোকজনও রয়েছেন এই তালিকায়। তাই ডায়াবেটিস,হাঁপানি, হৃদরোগের মত সমস্যা থাকলে করোনা নিয়ে বাড়তি সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক কোন কোন শারীরিক সমস্যায় করোন সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি।
করোনভাইরাস প্রতিরোধ করতে একটি ম্যালেরিয়া ওষুধেরকার্যকরী বলে শোনা যাচ্ছে
এক মার্কিন দম্পতি গত রবিবার নিজেরাই সেই ওষুধ খেয়ে নেন
তারপর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে, স্ত্রী হাসপাতালে
তাদের কারোরই করোনাভাইরাসের পরীক্ষাও করা হয়নি