নতুন ব্যোমকেশ যেন পর্দায় একধাপ এগিয়ে
সকলের নজর কেড়ে নিজেকে তুলে ধরলেন পরমব্রত
গল্পের গতি একই হলেও গল্প বলার ধরণ ভিন্ন
রহস্য বজায় রেখেই পর্দায় খুব সুক্ষ্মভাবে তুলে ধরা হল ছবিকে
পরিচালকঃ সায়ান্ত ঘোষাল
অভিনেতা-অভিনেত্রীঃ পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ
গল্পঃ ১৯৭১ সাল, দেশ জুড়ে তখন লক্সালের রাজ। উত্তপ্ত বাংলা, এমনই পরিস্থিতিতে সমাজের এক দায়িত্ববান ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেন ব্যোমকেশ। রাজনীতি, সরকার সব বিষয়ই কম বেশি তাঁর নজর। কিন্তু গল্পের মোড় ঘোরায় হেনা মৃত্যু রহস্য।
অভিনয়ঃ দুই বাঘা অভিনেতী পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও রুদ্রনীল ঘোষ। একে অন্যকে টেক্কা দিয়েই টেনে নিয়ে গেলেন ব্যোমকেশ। পরিচালক না হলেও ছবিতে এক প্রকার নিজের দাপট বজায় রেখেছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর লুক, বুদ্ধি, পর্দায় উপস্থিতি এক কথায় সবই যেন ষোলোয়ানা নজর কাড়া। অজিতের ভূমিকায় রুদ্রনীল যেন পরিচালকের এক আবিষ্কার।
চিত্রনাট্যঃ ব্যোমকেশ ছবির আর পাঁচটা গল্পের মতই সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই ছবির গল্প। তবে কোথাও যেন এক ঘেয়েমিভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি এই ব্যোমকেশও। গল্পকে খুব যত্নসহকারে ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে পর্দায়। অযথা বারিয়ে তোলা হয়নি গল্পের পরিসর। দুই ধাপে গল্পকে ভাগ করে নেওয়া হয় এমনভাবে যাতে পর্দায় রহস্য বজায় থাকে। গল্পের শেষ অংশও খুব সুন্দর করে তুলে ধরা হয়। ব্যোমকেশ-গল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তৈরি সংলাপ।
সিনেম্যাটোগ্রাফিঃ ছবির টিত্রনাট্যে নতুনত্বের অভাব থাকলেও তা ব্যোমকেশ ঘরানার জন্য পার্ফেক্ট। দৃশ্যগ্রহণ এক কথায় নজর কাড়ে। সত্তরের দশকের উত্তাল পরিস্থিতিও খুব যত্নের সঙ্গে পর্দায় তুলে ধরা হল। যার ফলে ছবিকে ঘিরে দর্শকদের খুব একটা তুলনামূলক চিন্তা এল না মাথায়।
পরিচালনাঃ এযেন এক নয়া ব্যোমকেশ। তবে তা ব্যোমকেশ সিরিজ থেকে কোনও অংশে আলাদা নয়। তবে এই ব্যোমকেশ অন্যদের থেকে নিজেকে খানিকটা আলাদা করেই তুলে ধরলেন পর্দায়। প্রতিটা পদেই যেন তিনি চোখে মুখে কথা বললেন। পরিচালক নিজের ছাপ বজায় রেখেই পর্দায় নিয়ে এলেন নতুন ব্যোমকেশকে। আলগা চটকেই যেন ভরপুর তাঁর চরিত্র।
Read Exclusive COVID-19 Coronavirus News updates, from West Bengal, India and World at Asianet News Bangla.
খেলুন দ্য ভার্চুয়াল বোট রোসিং গেম এবং চ্যালেঞ্জ করুন নিজেকে। கிளிக் செய்து விளையாடுங்கள்
Last Updated Oct 3, 2019, 3:06 PM IST