কেরিয়ারের শেষবেলায় এসে প্রত্যেক ম্যাচেই প্রায় সেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। গত শনিবার (৯ নভেম্বর) অযোধ্যার সবপক্ষের গ্রহণযোগ্য এক রায় দিয়ে শেষ করেছিলেন ১৩৪ বছরের পুরনো বিতর্কের। আর বুধবার (১৩ নভেম্বর) নিলেন আরও এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এখন থেকে তথ্যের অধিকার আইন বা আরটিআই অ্যাক্টের আওতায় চলে এলেন ভারতের প্রধান বিচারপতিরা কার্যালয়ও। প্রধান বিচারপতি গগৈ সাফ জানিয়ে দিলেন স্বচ্ছতা বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতাকে খর্ব করে না।
কেরিয়ারের শেষবেলায় এসে প্রত্যেক ম্যাচেই প্রায় সেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। গত শনিবার (৯ নভেম্বর) অযোধ্যার সবপক্ষের গ্রহণযোগ্য এক রায় দিয়ে শেষ করেছিলেন ১৩৪ বছরের পুরনো বিতর্কের। আর বুধবার (১৩ নভেম্বর) নিলেন আরও এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এখন থেকে তথ্যের অধিকার আইন বা আরটিআই অ্যাক্টের আওতায় চলে এলেন ভারতের প্রধান বিচারপতিরা কার্যালয়ও। প্রধান বিচারপতি গগৈ সাফ জানিয়ে দিলেন স্বচ্ছতা বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতাকে খর্ব করে না।
Supreme Court holds that office of Chief Justice of India is public authority under the purview of the transparency law, Right to Information Act (RTI). pic.twitter.com/97pyExixuQ
— ANI (@ANI) November 13, 2019
অযোধ্যা মামলার মতোই এই স্পর্শকাতর মামলার বিচারেও প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে ছিল পাঁচ বিচারকের সাংবিধানিক বেঞ্চ। বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি গগৈ ছাড়া ছিলেন বিচারপতি এনভি রমনা, ডিওয়াই চন্দ্রচুড়, দীপক গুপ্তা ও সঞ্জীব খান্না। তবে এই রায়ের বিষয়ে একমত হতে পারেননি পাঁচ বিচারপতি। তবে অধিকাংশই রায়ের পক্ষে ছিলেন।
এদিনের রায় পড়ে শোনান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। ২০১০ সালে প্রধান বিচারপতির কার্যালয়কে তথ্য অধিকার আইনের আওতার বাইরে রাখার আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেল। তিনি বলেছিলেন এতে করে বিচার বিঙাগীয় কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটবে। কিন্তু এদিন ৮৮ পাতার রায় পড়ে শোনানোর সময় বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, জনস্বার্থ সর্বক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা বজায় রাখার দাবি করে। স্বচ্ছতা বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করে না।
'Transparency doesn’t undermine judicial independency', Supreme Court says while upholding the Delhi High Court judgement which ruled that office of Chief Justice comes under the purview of Right to Information Act (RTI). https://t.co/axAjUFzDRr
— ANI (@ANI) November 13, 2019
২০১০ সালে দিল্লি হাইকোর্ট তার রায়ে বলেছিল, ভারতের প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সুপ্রিম কোর্ট 'সরকারি কর্তৃপক্ষ'। তাই এদেরও তথ্য অধিকার আইনের আওতায় আসতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেল সুপ্রিম কোর্টে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দাবি করেছিলেন, বিচারপতিদের নিয়োগ-সহ সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলি তথ্য় অধিকার আইনে প্রকাশিত হলে তা বিচার বিভাগীয় কার্যক্রমে সমস্যা তৈরি করবে। তাই প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে এদের তথ্যের অধিকার আইনের আওতার বাইরে রাখতে হবে।
Last Updated 14, Nov 2019, 2:40 PM IST