কোভ্য়াক্সিন  

 কলকাতা সহ রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ফের সামান্য বাড়ল। এদিকে টিকা নিয়ে এবার উলটপূরাণ রাজ্য়ে। নাম লিখিয়েছেন ৭ জন। কিন্তু তার মধ্য়ে একজনও টিকা পেলেন না। কোভ্য়াক্সিনের ক্লিনিক্য়াল ট্রায়াল মোডে ফাঁকা কাটালেন কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজের ভ্যাকসিনেশন অফিসারেরা। অপরদিকে, এই মুহূর্তে কলকাতায় একদিনে কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন ৫১ জন।  তবে একুশের ভোটের আগে ভাইরাস কতটা কবজা করল রাজ্যকে, কোভিড পরিস্থিতি কী, একবার দেখে নেওয়া যাক।

শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌছাল কোভ্যাক্সিন। প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার ডোজ এদিন বাংলায় এসেছে। বাগবাজারে মেডিক্য়াল স্টোরেজে থাকবে ১ লক্ষ ১০ হাজার ডোজ।  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে ভারত বায়োটেক
 

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে সূত্রটি জানিয়েছে ভারত বায়োটেক নতুন একটি চিঠি পেয়েছে। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ৪৫ হাজার কোভ্যাক্সিনের ডোজ চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার । যকনই চাইবে সংস্থাটি তখনই কোভ্যাক্সিন পাঠিয়ে দিয়ে সক্ষম বলেও জানান হয়েছে। প্রথম দফায় ভারত বায়োটেকেপর কাছ থেকে ৫৫ লক্ষ কোভ্য়াক্সিনের ডোজ চাওয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়ে যাবে টিকাকরণ। কিন্তু তার আগের দিনও দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি ভারত বায়োটেকের করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি এদিন সংবাদ সংস্থা এনএনআই-কে বলেছেন ভারতের নাগরিকরা গিনিপিগ নয়। 

 স্কুল খুলতেই আক্রান্ত একাধিক, দেশে-বিদেশে। বিট্রেনের সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে ভারতের কর্ণাটকও। আগে সব শিক্ষক-শিক্ষাকাকে টিকা দেওয়া হবে। আওতায় আসবেন শিক্ষার্থীর বাড়ির লোকজনও। 
 

 
জনস্বার্থে  কোভ্যাক্সিন ট্রায়ালে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েছিলেন  চিরঞ্জিৎ৷ তাঁর শরীরে ২ দফায় পরীক্ষামূলকভাবে কোভ্যাকসিন প্রয়োগ হয়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না দেখা দেওয়ায় বাড়ি ফেরার অনুমতি পান তিনি।  তবে তাঁকে ফের শারীরিক পরীক্ষার জন্য যেতে হবে ভুবনেশ্বরে।
 

করোনার প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ডাক পেলেন চিরঞ্জিৎ ধীবর।  আগামী সপ্তাহে স্কুলশিক্ষক  চিরঞ্জিৎ ধীবর যাচ্ছেন ভুবনেশ্বরে৷ সেখানে আইসিএমআর সেন্টারে হবে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল৷ তাঁর মা বলেছেন, 'জানি ঝুঁকি আছে, কিন্তু আমার ছেলে দেশের মঙ্গলের জন্যই নিজেকে উৎসর্গ করেছে৷'

কোভ্য়াক্সিন ট্রায়ালের অংশ হবে এবার কোলকাতাতেও। কলকাতার একাধিক ওয়ার্ড জুড়েই এই পরিকল্পনা রয়েছে।  নেতৃত্ব দেবে আইসিএমআর এবং তত্বাবধানে থাকবে নাইসেড। আর কিছুদিন পর কোভ্য়াক্সিন মিলতে পারে দোকানগুলিতেও।