বাংলা বনধ  

ভোটের আগে ভরাডুবি তৃণমূলের। একদিকে রাজ্যসভার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দীনেশ ত্রিবেদি। পাশাপাশি মোদী-শাহ-র প্রশংসায় পঞ্চমুখ দীনেশ ত্রিবেদী। অপরদিকে সাংসদ পদের ইস্তফা দেওয়ার জল্পনা বাড়িয়ে দিল্লি পৌছলেন তৃণমূল ত্যাগী তমলুকের সাংসদ দিব্য়েন্দু অধিকারী। দিব্যন্দুও গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন বলেই চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে। পাশাপাশি  দীনেশ ত্রিবেদির দলবদলের ইঙ্গিতে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।
 

বনধের মাঝেই শুক্রবার খুলেছে স্কুল। বনধের মাঝে স্কুল খোলায় স্কুল বন্ধ করার চেষ্টা। বাম নেতারা স্কুল বন্ধ করার চেষ্টা করেন। তাতেই বাধা দেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। স্কুল থেকে বার করে দেন বাম নেতাদের।

 সিপিএম তথা বামফন্টের ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধে সমর্থন করলেও রায়গঞ্জ পথে নামতে দেখা গেল না নির্বাচনের জোটসঙ্গী কংগ্রেসকে। বনধের সমর্থনে সিপিএম শুক্রবার সকাল থেকেই রায়গঞ্জ শহরে মিছিল,  জাতীয় সড়ক অবরোধ,  রেলরোকো আন্দোলন সংগঠিত করলেও দেখা মেলেনি কোনও কংগ্রেস নেতা কর্মীর।  এই আন্দোলনে জেলা কংগ্রেসকে পাবেন বলে আশা করেছিলেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। কিন্তু কেন তাঁরা এলেন না, উত্তর নেই সিপিআইএম-এর উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক অপূর্ব পালের কাছেও। 
 

দীনেশ ত্রিবেদী  ইস্তফা দিতেই  নয়া জল্পনা। দর্শকের ভূমিকাতেই থাকতে হবে মমতাকে। তৃণমূল সুপ্রিমোকে তোপ দাগলেন দিলীপ। দীনেশের দল ছাড়ার পর চাপ বাড়ল তৃণমূলে।
 

রাজ্য জুড়ে চলছে বাংলা বনধ। নদিয়াতেও পড়েছে তারই মিশ্র প্রভাব। বামেদের পাশাপাশি বনধে সামিল কংগ্রেসও। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চলল বনধ।

   দল ও পদ একইসঙ্গে দুই ছাড়লেন দীনেশ ত্রিবেদী। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূল সাংসদ। আচমকাই  সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা ঘিরে জল্পনা। তবে কি  গেরুয়া শিবিরে আরও এক নয়া সংযোজন।
 

 নতুনত্ব প্রতিবাদ করল বনধ সমর্থকরা। পুলিশের হাতে জোর করে ধরাল তৃণমূলের পতাকা। সেই সঙ্গেই দিল চকলেটও। পুলিশরা তৃণমূলকে সমর্থন করেন। সেই ভাবনাতেই এই অভিনব প্রতিবাদ তাঁদের।
 

শুক্রবার সরকারি স্কুলগুলোতে পঠনপাঠন শুরু। বামেদের ডাকা বনধে বিপর্যস্ত পরিবহণ পরিষেবা। তবুও বাধা পেরিয়ে নির্দিষ্ট সময়েই উপস্থিত  ছাত্রছাত্রীরা। কোভিড বিধি মেনেই স্কুলে প্রবেশ করল সকলেই।

বামেদের ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ। জেলায় জেলায় রাস্তা অবরোধ করে চলছে বনধ। অবরোধ করা হয়েছে রেল লাইনও।
 

পুলিশকে তৃণমূলের পতাকা উপহার। চকলেটও দিল বন্ধ সমর্থনকারীরা। সমর্থনকারীদের কথায় 'পুলিশ তৃণমূলের দলদাস'। তাই বনধ সমর্থকদের এই গান্ধীগিরি। 
 

বামেদের ১২ ঘন্টার বনধে বিরল দৃশ্য চূচূড়ায়। পুলিশকে মিষ্টি মুখ করানোর চেষ্টায় বামেরা।  যদিও পুলিশ তা নিতে অস্বীকার করেছে। কোথাও আবার গোলাপ দেওয়া হয়েছে। 
 

শুক্রবার বাংলা বনধের জেরে ব্যহত রেল পরিষেবা। সাতসকালেই শিয়ালদহের সব শাখায় বন্ধ ট্রেন।  ধর্মঘটের জেরে বিড়া-গুমায় আটকে রয়েছে ট্রেন। যদিও এখনও অবধি স্বাভাবিক রয়েছে হাওয়া স্টেশন।
 

 বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে সিপিএম তথা বামফন্টের ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধে উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। দুএকটি সরকারি বাস চললেও সমস্ত যানবাহন পরিষেবা বন্ধ। খোলেনি দোকানপাট বা হাট বাজার। জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরে সরকারি খোলা থাকলেও তাতে হাজিরা ছিল নগন্য।বামফন্টের ডাকা বনধকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস। 

 বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে শুক্রবার ১২ ঘন্টার বনধ ঘোষণা করেছে বাম যুব ছাত্র সংগঠন। উল্লেখ্য,  কর্মসংস্থানের দাবিতে  বৃহস্পতিবার দুপুরে ১০টি বামপন্থী দল একসঙ্গে অভিযান করে। তাতেই বাধা দেয় পুলিশ।  আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড অতিক্রম করার চেষ্টা করলেই পুলিশ বাধা দেয়। এরপরে দু'পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বাধে সংঘর্ষ। আহত হয় দুতরফেই, ডিসিপি সহ একাধিক পুলিশ কর্মী এবং বাম যুব ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা। তবে শুক্রবার বনধের দিন সরকারি কর্মীদের উপস্থিতি বাধ্যমূলক, সাফ জানিয়েছে নবান্ন। অর্থ দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শুক্রবার সকল সরকারি কর্মচারিদের কাজে যোগ দিতেই হবে না হলে একদিনের বেতন কাটা যাবে।