প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের মতে, ভারতীয় নৌবাহিনীর ২০০টিরও বেশি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার প্রস্তাব চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং শীঘ্রই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অনুমোদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলটি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের একটি মাটির কেন্দ্রীক লঞ্চার থেকে ছোঁড়া হয়েছিল। তখন ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি গাইডেড মিসাইল কর্ভেড থেকে উরান অ্যান্টি-শিপ মিসাইল উৎপেক্ষণ করা হয়েছিল। আন্দামান নিকোবর কমান্ড বলেছে 'exNaval' জাহাজ বা ভারতের নৌবাহিনীর একটি পুরনো জাহাজকে এই পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
ফিলিপাইন, গত মাসে, নৌবাহিনীর জন্য উপকূল-ভিত্তিক অ্যান্টি-শিপ মিসাইল সিস্টেম সরবরাহ করার জন্য ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস লিমিটেডের প্রস্তাব গ্রহণ করে। ফিলিপাইন ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে কন্ট্রাক্ট অ্যাওয়ার্ডের বিজ্ঞপ্তি আপলোড করে।
ভারতের কাছ থেকে ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ব্রহ্মস মিসাইল কিনবে ফিলিপাইনস। ভারতের মিশনে নয়া জোর আসবে এই চুক্তির ফলে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওড়িশার উপকূলে চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের বায়ু সংস্করণের সফলভাবে পরীক্ষা করে ভারত। ডিআরডিও-র সূত্র জানিয়েছে ব্রহ্মোস একটি দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্ষেপণাস্ত্র।
দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আগ্রাসনের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ফিলিপাইন। চিনের আগ্রাসন মোকাবিলা করার জন্য ফিলিপাইনের ন্য়াশানাল ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট ভারতের থেকে ব্রহ্মোস কেনার অনুমোদন দিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এনএনআই-এর খবর অনুযায়ী প্রথম দফায় বেশ কয়েকটি ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চেয়েছে ফিলিপাই। ইন্দো-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বলা হয়েছে। ভারতের কাছে এটি প্রথম বিদেশী অর্ডার।