শারীরিক অবস্থা অনেকটাই ভালো হওয়ায় তাঁর সঙ্গে কথাও বলেন বুদ্ধদেব। এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথাও বলেছেন দাশো শেরিং ওয়াংদা।
চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণে থেকেই সেরে উঠেছেন বঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে এখনও নজরদারির মধ্যেই রাখছেন চিকিৎসকরা।
বুকে ফ্লুইড বা জল জমার সঙ্কট অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। যদিও এখনও তাঁর বাঁদিকের ফুসফুসের নীচের অংশ ও ডানদিকের ফুসফুসের নীচের দিকের মাঝামাঝি অংশে সংক্রমণ রয়েছে।
সোমবার সকালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর রিপোর্ট দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন চিকিৎসকরা। আজই দুপুর ১২টা নাগাদ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেন চিকিৎসকরা।
ইতিমধ্যেই হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গিয়েছেন রাজ্যপাল থেকে বিরোধীরাও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সহ বিভিন্ন দলের নেতারা গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর ফুসফুসের সংক্রমণ ঠিক কতটা গুরুতর অবস্থায় রয়েছে সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বাইরে আনা হবে কি না।
সোমবার হাসপাতালে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পূর্ণ হতে চলেছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। এখনও তাঁর শরীরের সঙ্কট কাটেনি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রের খবর সোমবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের একগুচ্ছ শারীরিক পরীক্ষা হতে পারে। এদিন সিটিস্ক্যান করানোর কথা থাকলেও পরবর্তীকালে সেই সিদ্ধান্ত বদল করে মেডিক্যাল বোর্ড।
শনিবার সকালে আচমকা শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ভর্তি করানো হয় কলকাতার হাসপাতালে। কিন্তু, কিছুতেই তাঁর শারীরিক সংকট কাটছে না।