রাহুন গান্ধী বলেছেন, 'নির্বাচনী বন্ড বিশ্বের সবথেকে বড় তোলাবাজি স্কিম। প্রধানমন্ত্রী মোদী এর মাস্টারমাইন্ড।'
নির্বাচনী বন্ডের তথ্যের মাধ্যমে দাতা ও অর্থ গ্রহীতার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য সংখ্যার মাধ্যমে সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। তাতে স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোম্পানিগুলিকে কিভাবে লাভবান করেছিল।
নতুন নির্বাচনী বন্ডের তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি ৬৯৮৬.৫ কোটি টাকার মধ্যে ২০১৯-২০ সালে বন্ডের মাধ্যমে পেয়েছিল ২৫৫৫ কোটি টাকা পেয়েছিল লটারি রাজা সান্তিয়াগো মার্টিনের ফিউচার গেমিং-এর থেকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বের বৃহত্তম তোলাবাজির ব়্যাকেট চালাচ্ছেন।
নির্বাচনী বন্ড ইস্যুতে কংগ্রেস দুটি দাবিও জানিয়েছে, একটি তারা এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের তদন্ত চেয়েছে। পাশাপাশি বিজেপির অ্যাকান্ট বন্ধ করে দেওয়ার দাবি রয়েছে।
শুক্রবার ইলেক্টোরাল বন্ড মামলা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের করা আবেদনের শুনানি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই সময় সিজেআই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির একটি বেঞ্চ এসবিআইকে একটি নোটিশ জারি করে
সুপ্রিম কোর্ট সোমবারই স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া- দেশের গুরুত্ব ব্যাঙ্ককে নির্বাচনী বন্ড প্রকাশের জন্য প্রথমে ৬ মার্চ নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এসবিআই তা দিতে পারেনি।
ব্লুক্রাফট ডিজিটালের সিইও অখিলেশ মিশ্র তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া এক্স এর পোস্টে বলেছেন, 'যে সব দাতারা এখনও পর্যন্ত আইনি গ্যারান্টির অধীনে কাজ করেছেন তাদের আইনি অধিকারের অবস্থা কী?
রাজনৈতিক দলগুলির অর্থের উৎস নিয়ে অনেকদিন ধরেই প্রশ্ন উঠছে। এবার এ বিষয়ে কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
২০২২-২৩ সালে বিজেপির মোট আয় ছিল ২৩৬০.৮ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। যা ২০২১-২২ এর ছিল ১৯১৭ কোটি টাকা।