রবিবার গভীর রাতে কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষ হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দলের। বৈঠক শেষ হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, তিনজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
উত্তর থেকে দক্ষিণ, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে উঠছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরোধী স্লোগান। তারই মধ্যে, ভাইরাল হয়েছে মোদীকে নিয়ে মন্তব্য করা একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও।
আনন্দোলনকারী কৃষকদের পঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যে শম্ভু সীমানা পয়েন্টে কৃষকদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছোঁড়া হয়েছে।
রাজ্যে কৃষক আন্দোলনের অন্যতম আঁতুড়ঘর বলা হয় সিঙ্গুরকে। বাম শাসনের পতন আর তৃণমূলে উত্থানের পিছনে সিঙ্গুর আন্দোলন অনেকটাই দায়ি বলে মনে করেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
দিন কয়েক আগে থেকেই ভিড় কমছিল দিল্লির সীমানা এলাকা। আগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু কৃষক সংযুক্ত মোর্চার ঘোষণা অনুযায়ী এদিনই কার্যকরীভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে কৃষক আন্দোলন।
ইতিমধ্যেই গোছগাছ শুরু করেছেন কৃষকরা। দিল্লির সীমানা লাগোয়া এলাকায় ভেঙে ফেলা হচ্ছে অস্থায়ী আবাস। যেগুলি গত ১৫ ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁরা তৈরি করেছিলেন।
শুক্রবার কেন্দ্রের দাবি গত এক বছর ধরে যে বিক্ষোভ কৃষকরা চালিয়ে গিয়েছেন, সেখানে পুলিশ আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কড়া হয়েছে, কিন্তু পুলিশি অভিযানে কোনও কৃষকের মৃত্যুর কোনও খবর নেই।
কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৫ই জানুয়ারী একটি পর্যালোচনা সভা করা হবে।
সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক ইউনিয়নগুলিকে জানিয়েছেন এমএসপি বা নূন্যতম সহায়ক মূল্য ইস্যুতে একটি কমিটি গঠন করবে।
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, এমএসপি কমিটি গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই এই বিষয় নিয়ে কৃষকদের দাবিগুলি পুরণ করা হয়েছে। এই কমিটিতে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও থাকবে।