কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় শাসকদলের শীর্ষ নেতামন্ত্রীদের সঙ্গেও মোলাকাত করার চেষ্টা করেছিলেন মুকুল। সেই অভীপ্সা পূর্ণ না হলেও আজ, ২১ জুলাই, ধর্মতলায় আয়োজিত তৃণমূলের শহিদ দিবসের জনসভায় ফের নয়া খেল দেখালেন তিনি।
সূত্রের খবর, বারো দিন ধরে তিনি দিল্লিতে থাকাকালীন কেন্দ্রের কোনও বিজেপি নেতাই তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য সামান্যতম সময়টুকুও দিতে পারেননি। অথচ, মুকুল রায় কলকাতায় ফিরে জানালেন, সকলের সঙ্গেই তাঁর দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে।
কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ককে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতার বাইপাসের ধারের এক এক বেসরকারি হাসপাতালে।
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। স্পেশ্যাল লিভ পিটিশনের সেই শুনানিতেই কয়েকদিন আগে নতুন রায় শোনায় দেশের শীর্ষ আদালত।
শেষ বিধানসভা ভোট পর্ব মিটতেই ছেলেকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর এরপরেই তাঁর বিধায়ক পদ কেন খারিজ হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে বিভিন্ন মহলে। সরহ হয় বিজেপি। ঘোলা হয় জল।
'সারা বাংলায় বিপুলভাবে ভারতীয় জনতার পার্টির জয় হবে', শুক্রবার শান্তিকেতনে গিয়ে আচমকাই এমন বলে ওঠেন মুকুল রায়। পাশেই দাঁড়িয়ে চরম অস্বস্তিতে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল।
মুকুলের দলত্যাগের বিষয়ে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছিল হাইকোর্ট। কিন্তু, বিধানসভার বিষয়ে স্পিকারের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করা যায় না, এই যুক্তি দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।