পাকিস্তানে সরকার থাকলেও, সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে সেনাবাহিনী। জাতীয় ক্রিকেট দলের উপরেও সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
পাকিস্তান ক্রিকেট দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। এবার বাবর আজম সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে ফিরতেই ফের দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গিয়েছে।
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মতোই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেও অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে। মাঠে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে এই দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়ছে।
২০২৩ সালের এশিয়া কাপ থেকে পাকিস্তানের ব্যর্থতা চলছে। অধিনায়ক বদল করেও কোনও লাভ হয়নি। টেস্টের পর টি-২০ ফর্ম্যাটেও হেরেই চলেছে পাকিস্তান।
ওডিআই বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছে পাকিস্তান দল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পা রাখার পর শীতল অভ্যর্থনা জুটল পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের কপালে।
দুর্নীতি ও পাকিস্তান সমার্থক। হাত ধরাধরি করে চলছে দুর্নীতি ও ক্রিকেট। গত কয়েক দশকে পাকিস্তানে এই ব্যবস্থায় কোনও বদল হয়নি। ২০২৪ সালের দোরগোড়ায় এসেও সেটাই দেখা যাচ্ছে।
ওডিআই বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর পাকিস্তান ক্রিকেটে ডামাডোল তৈরি হয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কার্যকলাপেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
চলতি মরসুমের ক্রিকেট বিশ্বকাপে (ICC Cricket World Cup 2023) নেদারল্যান্ডস এবং শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বেশ মনোবলের সঙ্গেই ম্যাচ শুরু করেছিল পাকিস্তান। এর পরেই হারতে শুরু করে ক্যাপ্টেন বাবর আজমের টিম।
শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে লিগ পর্যায়ের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ জিতলেও বাবর আজমদের সেমি-ফাইনালের যোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ড জয় পাওয়ায় এবারের ওডিআই বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালের দৌড় থেকে কার্যত ছিটকে গিয়েছে পাকিস্তান। এই ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা।