একাধিক শিশু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ফলে হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত শিশু ভর্তির সংখ্যাও বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ ওয়ার্ডও খোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কাও।
রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ক্রমশই বাড়ছে অজানা জ্বরে আক্রান্ত শিশু ভর্তির সংখ্যা। রবিবার পর্যন্ত হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তির সংখ্যা ৮৫।
রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ৬৫ জন শিশু। জেলা জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আতঙ্কিত অভিভাবকরা।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও এক শিশুর মৃত্যু। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হওয়ায় শনিবার মলদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার মালদা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হল ৮ মাসের এক শিশুর । মেডিকেল কলেজ সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘন্টায় তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি পুরুলিয়া জেলাতেও অজানা জ্বরে আক্রান্ত শিশুরা। মুখ্যসচিব সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ১৩০০ পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, ৩৫০ এসএনসিইউ এবং ১০ হাজার জেনারেল বেড তৈরি রাখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে বেশ কয়েকজন শিশুর জ্বর থাকায় তাদের মেডিকেলের এমারজেন্সিতে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও জ্বরের উপসর্গ নিয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে শিশুদের নিয়ে আসছেন অভিভাবকরা। যদিও অজানা জ্বরের উপসর্গ নিয়ে জেলার কোনও হাসপাতালে শিশু ভর্তি নেই বলে জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুকুমার দে
বাংলায় শিশু- মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ জন। উত্তরবঙ্গে ৫০০-র বেশি শিশু আক্রান্ত হওয়ায় কমিটি গঠন করল স্বাস্থ্য দফতর।