একদা বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সিবিআই হেফাজতে। বারবার জামিনের আর্জি জানালেও, স্বস্তি পাচ্ছেন না এই প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা।
বীরভূমে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের তোরণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছবির শূন্যস্থানে রাখা হল কাজল শেখের ছবি। কোথাও দেখা গেল না অনুব্রত মণ্ডলের মুখ।
নানুরের এই নেতা একাধিকবার অভিযোগ করেছিলেন যে, তাঁকে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কাজ করতে বাধা দিচ্ছেন। এরপরেই তাঁর জেলা সভাধিপতি হয়ে ওঠাটা বীরভূমের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বীরভূমে বড় ব্যবধানে জয় পেতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। জেলার বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে জেলে। তারপরেও এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে মমতার কারিগুরি।
এর আগেও সায়গল হোসেনের বাড়ি ও ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর নগদ টাকা, সোনা গয়না-সহ বিপুল বিষয়সম্পত্তির দলিল উদ্ধার করেছিল সিবিআই। তারপর শুক্রবার আবার প্রায় ১ কোটি টাকার সম্পত্তির নথি পেশ করা হল।
পঞ্চায়েত নির্বাচন আর বিধানসভা নির্বাচন বা লোকসভার নির্বাচন- যেকোনও ক্ষেত্রেই বীরভূমের নির্বাচনে অনুব্রত মণ্ডল ছিল শেষ কথা। কিন্তু তিহার জেলে থেকে কী সেই ক্যারিশ্মা দেখাতে পারবেন কেষ্ট।
বুধবার জানা গিয়েছে কেষ্ট ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা সমস্ত সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে ইডি। গরু পাচার মামলার শুরু থেকেই অনুব্রতর একাধিক হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির হদিশ মিলেছিল।
শনিবারের পর আবার এক শনিবার। আজ সকালেই দিল্লির তিহাড় জেলে আরও একবার নিজের মেয়ের মুখোমুখি হলেন অনুব্রত মণ্ডল।
৪ মে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রতকে। হুইল চেয়ারে করে আদালতে প্রবেশ করেন বীরভূমের দাপুটে নেতা। এদিন মেয়ের সঙ্গে কবে দেখা করবেন সেই নিয়ে অনুব্রতকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
সম্প্রতি হুগলির কোন্নগরের বড় বহেরা মাঠে এসএফআইয়ের সভায় উপস্থিত থেকে সুকন্যা সম্পর্কে কার্যত কিছুটা নরম হতেই দেখা গেল বিমান বসুকে।