বিশ্বভারতী ঘিরে বিতর্ক কিছুতেই থামছে না। বারবার বিতর্কে জড়াচ্ছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি যেন কার্যত প্রাক্তনী ও আবাসিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন।
১ অগস্ট ঘোষণা করা হয়েছিল যে, রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালই আপাতত জরুরি পরিস্থিতিতে উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবেন। তারপরেই রবিবার ১৬টি উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়েই অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এর আগে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই মামলায় পরাজিত হওয়ার পর অবশেষে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হতে পারে। উপাচার্য নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য।
দবপুরেরই ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক অমিতাভ দত্তর হাতে অস্থায়ী উপাচার্যের ভার দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। গত ৪ অগাস্ট তিনিই অমিতাভ দত্তকে ইস্তফা দিতে বলেন।
রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপালের দ্বন্দ্বের মধ্যে আরও এক রসদ যোগ। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়ম না মানার অভিযোগ তুলেছেন আনন্দ বোস।
পড়ুয়াদের একাংশের বিরোধের কারণে সেবছর বসন্ত উৎসব বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল প্রসাশন। এবারও বসন্ত উৎসব বন্ধ থাকার কথাও বললেন তিনি।
২৪ ফেব্রুয়ারি আয়োজিত হতে চলেছে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান, তার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এমন মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
ছাত্রের ভর্তি আটকানো, ছাত্রীর পিএইচি ডি আটকানো, শিক্ষকদের মুচলেকা আদায়, একের পর এক সাসপেনশন, বেতন ও পেনশন আটকানো এমন বিস্তর অভিযোগ তুলছেন ছাত্র ছাত্রীরা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর জন্য তৎপর পিনারাই বিজয়নের সরকার। কেরলের কলামণ্ডলম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে সরানো হল রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে।