এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী চিন ও পাকিস্তানের নাম না নিয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদের প্রচার ও আশ্রয় দেওয়া ইস্যুতে কড়া বার্তা দেন।
জয়শঙ্কর এবং রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ গোয়ায় এসসিও বৈঠকের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন। দুই নেতা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক, বৈশ্বিক এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতা পর্যালোচনা করেন।
শুক্রবার SCO সভা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এতে অনেক দেশের বিদেশমন্ত্রী বৈঠকে অংশ নিতে গোয়া পৌঁছেছেন। ভারত তার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকেও এই বৈঠকে অংশ নিতে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছিল। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারতে পৌঁছেছেন বিলাওয়াল ভুট্টো।
ভুট্টো এসসিও ফোরামে কাশ্মীর ইস্যু তুলতে পারেন। এছাড়া কর্ণাটকে কংগ্রেসের ইশতেহারে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টিও উল্লেখ করতে পারেন ভুট্টো।
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী যদি ব্যক্তিগতভাবে এই বৈঠকে যোগ দিতে আসেন, তাহলে এটি হবে ইসলামাবাদ থেকে ২০১১ সালের পর কোনো বিদেশমন্ত্রীর প্রথম ভারত সফর।
SCO-এর ভারতের নেতৃত্বে আয়োজিত দুদিনের অনুষ্ঠান মধ্য এশীয়, পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশীয় এবং আরব দেশগুলিকে একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসে। বৌদ্ধ শিল্প, শিল্প শৈলী, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান এবং মধ্য এশিয়ার প্রাচীন সভ্যতার মধ্যে মিল খুঁজে বের করা এর লক্ষ্য।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি এসসিও সম্মেলনে বলেন যে বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রাথমিক কিছু নিয়মকানুন যেমন জীব বৈচিত্র , শিক্ষা , স্বাস্থ্য এইসব বিষয় সংক্রান্ত নিয়মকানুন গুলো এক হাওয়া উচিত।তার পরিপ্রেক্ষিতেই মোদী বলা এক বক্তব্য বেশ প্রসনশিত হয় আন্তরজাতিক মহলে ।
ভারত ও রাশিয়া এমন এক সময়েও মুখোমুখি হচ্ছে, যখন ক্রেমলিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর মস্কো বিশেষ করে পশ্চিমের কাছ থেকে ভারী বাণিজ্য ও দ্বিপাক্ষিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ভুগছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি এই বছরের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া G20 বৈঠকটি মোদী-জিনপিং বৈঠকের জন্য বেশি উপযুক্ত। এসসিও-তে চিন থেকে দূরত্ব বজায় রেখে বেজিংকে আবারও কড়া বার্তা দিতে পারে ভারত।
শি জিনপিং ও ইমরান খানের সঙ্গে এক টেবিলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
মঙ্গলবার এসসিও-র ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন
সেখানেই তীব্র উত্তেজনার মধ্যে মুখোমুখি হবেন তিন রাষ্ট্রনেতা
উপস্থিত থাকবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও