অভিনেত্রীর বাবা মা মেয়ের একটি ছবি নিয়ে মঞ্চে উঠতে আসে। তাঁরা দুজনেই এদিন ভেঙে পড়েছিলেন কান্নায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে গ্রহণ করেন সম্মান।
ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পেতেই যেখানে অনেকের বছরের পর বছর লেগে যায়, সেখানে ঐন্দ্রিলা মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই অন্তত চারটি ধারাবাহিক, একটি সিনেমা, এমনকি একটি ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন।
বিকেল ৫টায় ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে যাওয়া হবে টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে। সন্ধে ৬টায় সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
নায়ককে ছাড়া এতটা পথ একা একা পাড়ি দিতে পারবেন তো নায়িকা? নাকি তাঁর হাত ধরতে আসবেন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা! ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরছে, এই আনন্দেই কি তাঁর এত বড় আকাশ আলোয় আলো?
হাসপাতালের সর্বশেষ মেডিকাল বুলেটিন জানাচ্ছে এখনও সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে ঐন্দ্রিলা। যদিও চিকিৎসকদের মতে গত দুদিনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত সাড়া বেশি দিচ্ছে ঐন্দ্রিলা।
নায়িকার জবাব, ‘এক দম ছোট বেলার থেকেও কলেজ বেলার পুজো বেশি ভাল ছিল। তখন শাড়ি পরা ছিল। বন্ধুদের সঙ্গে প্যান্ডেলে ঘোরা ছিল। আর ছিল চোখে চোখ রাখা।’
ধারাবাহিকে মা-মেয়ের জীবন সংগ্রামের গল্প দেখানো হয়েছিল। ঐন্দ্রিলাই রিমঝিমকে প্রথম বলেছিলেন, ‘তুমি তো নায়িকা! মায়ের চরিত্র কেন করছ?’
ছোট থেকে বড়ো চাকরি করার স্বপ্ন দেখে বেড়ে উঠেছে আলো। কিন্তু বাবার সিদ্ধান্তে হঠাৎই একদিন বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে, তবে কি স্বপ্নেই থেকে যাবে চাকরির ইচ্ছা?
আমরা সবাই মিলে প্রার্থনা করছি, ‘ওরা দু’জন যেন এক সঙ্গে হাসতে পারে, বাঁচতে পারে। নিশ্চয়ই ঈশ্বর এত নিষ্ঠুর হবে না। এত মানুষের প্রার্থনা বৃথা যাবে না।’
নতুন করে ওর কোনও অবনতি হয়নি! আর একটু সময় দিন। ঐন্দ্রিলার সুস্থতার খবর আমরাই সবার আগে বুক বাজিয়ে জানাব।