করোনা বিধিনিষেধ শিথিল হতেই চিনে ফের চড়চড়িয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। এই সংক্রমণ ঠেকাতেই এবার দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল সরবরাহ বাড়ানোর বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে চিন।
করোনা ঠেকাতে যে কড়া বিধিনিষেধ লাগু করেছিল চীন প্রশাসন । সোমবার থেকে তা শিথিল করার কথা ঘোষণা করল জিং পিং এর সরকার ।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, ‘হোলিকা দহন’ অর্থাৎ ১৭ মার্চ ছাড়া রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জনসমাগম নিষিদ্ধ। নাইট কার্ফু জারি থাকবে গোটা রাজ্যে।
আগের বারের থেকে এবারে ১৬ শতাংশ বুথের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সহজ ভাবে দেখতে গেলে কোভিডের কারণেই প্রতি বুথে কমছে ভোটার। আসন্ন নির্বাচনে প্রতি বুথে ১৫০০-র বদলে ১২৫০ জন করে ভোটার থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।
৩ জানুয়ারি থেকেই রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ জারি হতে পারে। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের শীর্ষ মহলে এই মুহূর্তে আলোচনা চলছে। শীঘ্রই এই বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা করা হতে পারে রাজ্যের তরফে।
বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮৬ জন। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পয়লা অক্টোবরের মধ্যে করা রাজ্য সরকারের সেন্টিনেল সার্ভেল্যান্স অনুযায়ী, ৪ জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৩ থেকে ৪ শতাংশ বেশি।
আগের ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বুধবারই ছিল বিধিনিষেধের শেষ দিন। কিন্তু, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।
করোনার সঙ্গে মোকাবিলার জন্য টিকা নেওয়ার বিষয়ে জোর দিয়েছেন গুলেরিয়া। তিনি জানিয়েছেন, যেসব দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যাঁরা টিকা নিয়েছেন তাঁরা তুলনায় কম করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আর হলেও তাঁদের হাসপাতালে ভর্তিও হতে হচ্ছে না।