শ্রীরামপুরে বিস্ফোরক সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘নরেন্দ্র মোদীকে কতটা খুশি করতে চান? সাংবিধানিক পদে বসে শুধু আমি আমি করছেন কেন? আর কতটা ঘাড় ঝোঁকাবেন আপনি? আমি একমাত্র জবাব দেব শ্রীরামপুরবাসীদের।’
সংসদভবন চত্ত্বরে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার সাংসদরা জড়ো হয়েছিলেন। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের নকল করতে দেখা যায়।
দেখা গেছে যে সংসদের বাইরে বিরোধী সাংসদদের মধ্যে জগদীপ ধনখরের শারীরিক ভাষা নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মজা করছেন এবং অন্যান্য সাংসদরা সেই অঙ্গভঙ্গি দেখে হাসছেন।
‘বিজেপি ৭০ টি সিটে চু-কিৎ কিৎ খেলছে। অমিত শাহকে পশ্চিমবঙ্গ পছন্দই করে না। ২০২৪-এ বিজেপির নেতাদের দর অনেক কমে যাবে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই বিজেপি এইসব করছে। মমতাকে বাংলার মানুষ হৃদয় থেকেই গ্রহণ করেছে।’
নবান্ন অভিযানে পুলিশের মারে আহত বিজেপি কর্মীকে সোদপুর পানশিলার বাড়িতে দেখতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, এরপর সাংবাদিক দের প্রশ্নের জবাব দিয়ে গিয়ে মদন মিত্র,কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কে পচা মাল বলে আখ্যা দিলেন তিনি
অভিষেক-কল্যাণ বিতর্কের পর এবার 'বিশেষ বার্তা' দিলেন সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়। বিশেষ বার্তায় তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, লোকসভার কোনও সাংসদ দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে 'লিডার'কে না জানিয়ে কোথাও কোনও সই করবেন না।
মদন মিত্র প্রবীর ঘোষালের প্রশংসাও করে ছিলেন। সেদিন মদন মিত্রের সেই প্রশংসা যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ভালোভাবে নেননি তা এদিন ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন।
সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে ঘর ওয়াপসি হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর রাজীবের এই প্রত্যাবর্তনকে মোটেই ভালোভাবে গ্রহণ করেন নি শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আরেক বিরূপ মন্তব্য শোনা গেল তার গলায়। আচমকা বিরোধী দলনেতাকে ভাই বলে সম্বোধন করে ক্ষমাপ্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ঠিক কী কারণে এহেন মন্তব্য তাই নিয়েই শুরু জল্পনা।