সাংসদ দেবকে পদত্যাগ করার দাবি তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে জেলার গেরুয়া শিবির। সমগ্র ঘাটাল এলাকা জুড়ে দেওয়ালে দেওয়ালে জবাব চাওয়ার পোস্টার পড়েছে।
বাঁকুড়া দুই পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে ছাগল বিতরণের পরিকল্প নেওয়া হয়েছিল। রাজ্য প্রাণী সম্পদ দফতরের উদ্যোগে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। তাতেই কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের যুব নেতার বিরুদ্ধে।
বাণিজ্যিক গাড়িগুলিতে নজরদারি চালানোর জন্য ভেহিক্ল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস বসানো বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। এবার এই যন্ত্র বসানো নিয়েও শাসকদলের বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।
শেষকৃত্যের পর গ্রামের মানুষ নিজেরাই চাঁদা তুলে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন, সেই টাকা কেন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার দেওর ফারুক মিঞার হাতে দেওয়া হল না? এই ‘অপরাধে’ বীরভূমের রামপুরহাট থানার পাইকপাড়া গ্রামে শোকস্তব্ধ বাড়িতে চলল তাণ্ডব।
বারাসাত ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর মিলন সর্দার। শনিবার ভোররাতে কে বা কারা নিবেদিতা পল্লি ও আরদেবক এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারগুলি সাঁটিয়ে দিয়েছিল। একটি পোস্টারে লেখা, “নববর্ষের উপহার- কাটমানির সর্দার, আর নেই দরকার”।
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চাঁচোল ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল সদস্যা রুপসানা খাতুন। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক।
অভিযোগ, প্রত্যেক কাজের টেন্ডার নেওয়া থেকে কাজ পাওয়া ও কাজের পর পেমেন্ট পাওয়া পর্যন্ত বিডিও এবং অফিসের আর এক আধিকারিকের কাছে টাকা দিতে হয় কন্ট্রাক্টরদের। প্রত্যেক কাজে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ টাকা দিতে হয় তাঁদের। আর টাকা না দিলে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা বা কাজের টাকা পেতে নানা রকম ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।