কার্তিক পুজোর নিয়মের মধ্যেই রয়েছে সদ্যোবিবাহিত বা নবদম্পতিদের বাড়িতেই কার্তিক পুজো করা হয়। অনেক সময় যেসব দম্পতি দীর্ঘদিন ধরেই নিঃসন্তান থাকে তাহলে তারাও সন্তান লাভের জন্য কার্তিক পুজো করে।
তারকাসুরকে বধ করার জন্য জন্ম হয়েছিল কার্তিকের। পরমেশ্বর শিব ও দেবী পার্বতীর যোগের মাধ্যমে আত্ম মিলন হয়। তারপর জন্ম হয় কার্তিকের।
শাস্ত্র মতে, ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে কার্তিক পুজো। প্রচলিত ধারণা অনুসারে, সন্তান লাভের জন্য কার্তিক পুজো করা হয়। কিন্তু, অনেকেই জানেন না যে সন্তান লাভ ছাড়াও একাধিক কারণে কার্তিক পুজো করা হয়ে থাকে। কার্তিক ঠাকুর হলেন যুদ্ধের দেবতা।
শারদীয় পূর্ণিমা শেষে কার্তিক মাস শুরু হয়। ভগবান বিষ্ণুর অন্যতম প্রিয় মাস, কার্তিক মাসে তুলসী পূজার পাশাপাশি যথাযথভাবে পূজা করার নিয়ম রয়েছে। কার্তিক মাসে কিছু কাজ করা শুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে কার্তিক মাসে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে ধন-সম্পদের শান্তি, সুখ-সমৃদ্ধি ও রোগ-ব্যাধি দূর হয়।
গতকালই পালিত হয়েছে কার্তিক পুজো (Kartik Puja)। সেই পুজোর রেশ এখনও কাটেনি। এখনও অনেক প্যান্ডেই রয়েছেন কার্তিক। এরই মাঝে শুরু হল রাসযাত্রার প্রস্তুতি। ভক্ত ও ভগবানের মিলন উৎসব (Festival) হল রাসযাত্রা। বৈষ্ণব ধর্মের বড় উৎসব হল রাসযাত্রা (Raas Yatra) ।
একদিনেই মূর্তি তৈরি রঙ দেওয়া তারপর সাজানো, কাঁচা অবস্থাতেই হয় পুজো। পুরুলিয়ার আড়াইশো বছরের প্রাচীন কাঁচা কার্তিক পুজোয় আজও সেই আবেগ।
পাণ্ডবেশ্বর গ্রামে পালদের পুজোতে তিনটি কার্তিক - বড় কার্তিক, মেজো কার্তিক এবং ছোটো কার্তিক এর মূর্তি পূজিত হয়। ঐতিহাসিকরা এই তিন কার্তিকের পুজো দেড়শো বছরেরও অধিক প্রাচীন বলে মনে করেন।
কার্তিক হিন্দু সম্প্রদায়ের যুদ্ধের দেবতা হিসেবে পরিচিত। পৌরাণিক দেবতা হিসেবেই পরিচিত দেবতা কার্তিক। অন্যান্য হিন্দু দেবদেবীর মতো কার্তিকও একাধিক নামে অভিহিত। দক্ষিণ ভারতে কার্তিকের পুজো অধিক জনপ্রিয়।
প্রতিদিন তুলসী তলায় সন্ধ্যা প্রদীপ দিলে সংসারে সুখ শান্তি বজায় থাকে। ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত তুলসী গাছ। মনে করা হয় তুলসী গাছে স্বয়ং মা লক্ষ্মী বাস (Maa Laxmi) করেন। তাই সব শুভ কাজে তুলসী পাতা ব্যবহৃত হয়।
কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের চতুর্থীকে বলা হয় বিনায়ক চতুর্থী (Binayak Chaturthi)। অন্যান্য পূজা-অর্চনার মতো বিনায়ক চতুর্থী বা গণেশ চতুর্থীও অবশ্যই অন্যতম। চলতি বছর ৭ নভেম্বর বিনায়ক চতুর্থী।