জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, কেসিআই জিএইচএমসি নির্বাচনের পরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি এনডিএ-তে যোগদান করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
সরকারী বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "গভর্নিং কাউন্সিল হল একটি ফোরাম যেখানে কেন্দ্র এবং রাজ্য স্তরে দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক প্রধান উন্নয়ন সম্পর্কিত সমস্যাগুলির উপর আলোচনা করেন এবং জাতীয় উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত সমাধানের বিষয়ে সম্মত হন।"
মোদী বলেন আদিত্যনাথ একজন সাধু। কিন্তু তারপরেও তিনি আস্থা রাখেন বিজ্ঞানে। তিনি মোটেও কুসস্কারাচ্ছন্ন নন। আর আদিত্যনাথের এই মনোভাবের জন্য তিনি তাঁকে সর্বদা শুভেচ্ছা জানান বলেও জানিয়েছেন। তারপরই মোদী বলেন তিনি তেলাঙ্গনার মানুষকে অন্ধ-কুসংস্কারের হাতে থেকে বাঁচাতে চান।
দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসের যোগদান। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও রকম সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি।
নিজের রাজ্য তেলেঙ্গানার পাশাপাশি গোটা দেশেই নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ, উন্নয়ন-চালিত নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বা কেসিআর। মমতারও একই ভাবমূর্তি রয়েছে বাংলায়।
বিজেপি বিরোধী জোট এনডিএ-র কোনও ক্ষতি করতে পারবে না বলেই আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস অটওয়ালে। তিনি বলেন যে উদ্ধবের শিবসেনা, কেসিআর-এর তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) এবং অন্যান্য দলগুলি জাতীয় স্তরে তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের জন্য একত্রিত হলেও, জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের জন্য তারা কোনও হুমকি নয়।
রবিবার মুম্বই সফরে কেসিআর বিকেলে ঠাকরের সাথে তার বাসভবনে দেখা করবেন এবং তার সাথে মধ্যাহ্নভোজন করবেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পর, চন্দ্রশেখর রাও পাওয়ারের বাসভবনে যাবেন যেখানে দুই নেতা জাতীয় রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
সম্প্রতি তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর একাধিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। পোশাক ইস্যুতে মোদীকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
রবিবার এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে কেসিআর বলেন, রাহুল গান্ধী নন, তিনিও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সপক্ষে প্রমাণ চান। তিনিও জানতে চান সম্পূর্ণ তথ্য আর সত্য। তিনি আরও বলেন এটা শুধুমাত্র রাহুল গান্ধীর বিষয় নয়। এটা গোটা দেশের বিষয়। সেই কারণে এখন তিনি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
একটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছিল মর্যাদার লড়াই
তাতে শেষ পর্যন্ত জয় পেল বিজেপি
অক্ষত রইল না কেসিআর-এর দুর্গ
এবার কি তেলেঙ্গানাতেও ফুটবে পদ্ম