ভাদ্র বা কৌশিকী অমাবস্যার দিনে পবিত্র নদীতে স্নান করাও শুভ বলে বিবেচিত হয়, এবার ভাদ্র বা কৌশিকী অমাবস্যার সঠিক তারিখ নিয়ে সংশয় রয়েছে যে এটি ১৪ সেপ্টেম্বর নাকি ১৫ সেপ্টেম্বর পালিত হবে।
কৌশিকী কথার অপর অর্থ আদ্য়াশক্তি। পুরাণ অনুযায়ী দেবী দুর্গা কৌশিকী রূপ ধারন করেই অসুর শুম্ভ আর নিশুম্ভকে বধ করেছিলেন।
কৌশিকী অমাবস্যার দিন কুশ ঘাস বাড়িতে আনা অত্যন্ত শুভ ও ফলদায়ক বলে মনে করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই কুশ ব্যবহারে করা সমস্ত ধর্মীয় কাজ করার সমান পুণ্য দেয়।
এই অমাবস্যা তিথি শুরু হলেই রাজবেশ সহকারে রাতে মায়ের পুজো করা হয়। কারণ এই তিথিতেই মা কালী রূপে আবির্ভাব হয়। পূর্বজন্মের সতীর যজ্ঞস্থলে আহুতির ফলে তিনি কালো বর্ণে আবির্ভাব হন।
দুই বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য জনসমাগন হয়নি। তাই অনেক আশা নিয়ে কৌশিকী আমাবস্যায় ব্যবসাপাতি ভাল হবে পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তেমনভাবে জমল না তারাপীঠের কৌষিকী অমাবস্যা। মাথায় হাত লজ মালিক থেকে সমসত স্তরের ব্যবসায়ীদের।
হিন্দুমতে কৌশিকী পূর্ণিমার রাতে সাধক কুলকুণ্ডলিনী চক্রকে জয় করতে পারে। এই রাতকে তারা রাত্রি বলে। বৌদ্ধ ও হিন্দু দুই সাধনাতেই বিশেষ মাহাত্ম্য আছে এই তিথির। বলা হয় তারারাত্রির এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক দুইয়ের দরজা মুহূর্তের জন্য খোলে ও সাধক নিজের ইচ্ছা মতো শক্তি সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করেন ও সিদ্ধি লাভ করেন৷
অনুব্রত মণ্ডলহীন তারাপীঠে আজ কৌশিকী অমাবস্যার পুণ্যতিথি, সকাল থেকেই ভক্তদের ঢল সামলাতে কড়া প্রহরা প্রশাসনের।
বীরভূমের জেলা সভিপতির পদে এখনও রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলেকর নাম। কিন্তু প্রচার ফ্লেক্সে অধরা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। গরু পাচারকাণ্ডে জেল হেফাজত হতেই কার্যত মুছে ফেলা হল অনুব্রত মণ্ডলকে। শুক্রবার কৌশিকী অমাবস্যা।
এই বিশেষ তিথির সঙ্গে তারাপীঠের এক গভীর যোগ রয়েছে। কারণ, এদিন তন্ত্র সাধনা, যোগ্য বা মনের কোনও ইচ্ছা পূরণ করার মক্ষম তিথি। আর তাই তারাপীঠে মা কালীর আরাধনা শুরু হয় সকাল থেকেই।
করোনা পরিস্থিতিতে অন্যন্য সমস্ত আয়োজন বাতিল করে দেওয়া হয়। ফলে মন্দির জুড়ে যৎসামান্য কিছু ভক্তের আনাগোনার লক্ষ্য করা যায়