২৭ ডিসেম্বরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে গঙ্গাসাগর মেলার জন্য তিনশো বেড-এর একটি হাসপাতালের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকের পর মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানালেন যে, মেলায় কোভিড পরীক্ষা করানোর বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
রবিবারও ভোর হতে না হতেই পূর্ণার্থীদের ভিড় দেখা গেল গঙ্গাসাগরে। মকর সংক্রান্তির পূণ্য তিথিতে পূণ্যলাভের আশায় দলে দলে মানুষ ভিড় জমিয়েছে গঙ্গাবক্ষে। এই বছর দু'টি ভিন্ন পঞ্জিকা অনুযায়ী ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি দু'দিনই পরেছে মরক সংক্রান্তি।
ভোর থেকেই লাখ লাখ মানুষ পূণ্য অর্জণ করতে এসেছেন। চলছে তর্পণ ও গঙ্গাস্নান। উল্লেখ্য গতকালই ভিরের কারণে গঙ্গাসাগর মেলায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।
মঙ্গলবার মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। গঙ্গাসাগরে আসা পুণ্যার্থীদের হাতে রাজ্য সরকারের বিশেষ শংসাপত্র দেওয়া হবে।
ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার এক দিনের ম্যাচ রয়েছে, তার জন্য একটি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। বিশেষ ট্রেন ছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন স্টেশনে থামানো হবে গ্যালোপিং ট্রেন।
১০০ দিনের প্রকল্পের টাকার দাবিতে ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ‘১০০ দিনের কাজে বাংলাকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না। রাজনৈতিক কারনেই বাংলায় কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। আবাস যোজনায় বিজেপি নেতাদের নামও আছে। আবাস তালিকা থেকে তাদের নামও বাদ পড়বে।’
নবরূপে সজ্জিত ৩টি হেলিপ্যাড সহ আরও বেশ কয়েকটি প্রোজেক্টের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপ। গঙ্গার মর্ত্যে প্রত্যাবর্তন ও সাগর রাজার পুত্রদের জীবন বিসর্জনের লোকগাঁথাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এই বিখ্যাত তীর্থস্থান গঙ্গাসাগর। এখানে ছিল সাংখ্যদর্শনের আদি-প্রবক্তা কপিলমুনির আশ্রম।
'৮ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে এবছরের গঙ্গাসাগর মেলা। কুম্ভস্নান শুরু হচ্ছে ১৪ তারিখ ৬.৫৩ মিনিটে। এবার পুণ্যস্নানের সময় ২৪ ঘণ্টা। মেলায় ২২৫০টি সরকারি বাস, ৫০০ বেসরকারি বাস পরিষেবা দেবে। ৪টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ এই সময়ে চলবে।
গঙ্গাসাগর মেলার আগে সপরিবারে কপিলমুনি মন্দিরে পুজো দিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় । পূজো দেয়ার পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন তিনি ।