ভ্যানের চালককে জিজ্ঞেস করে জানা যায় ভ্যানে মোট ১৭টি গরু রয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে এই গরু কিনে তারা এখন দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে যে, মণীশ কোঠারি নিজে তাঁদের জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলই বাবার সমস্ত ব্যবসা দেখতেন।
৪ মে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রতকে। হুইল চেয়ারে করে আদালতে প্রবেশ করেন বীরভূমের দাপুটে নেতা। এদিন মেয়ের সঙ্গে কবে দেখা করবেন সেই নিয়ে অনুব্রতকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
সুকন্যার জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। গ্রেফতারির পর থেকে শনিবার পর্যন্ত ইডির হেফাজতে ছিলেন তিনি।
শনিবার পর্যন্ত সুকন্যা মণ্ডলকে থাকতে হবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতেই। তবে এই তিন দিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সুকন্যা আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন
আদালতের সওয়াল জবারের পর রেজিস্টার সিকিউরিটি ১৫০০০ টাকার বণ্ডে জামিন পেলেন তিনি।
আবদুলকে পাকড়াও করা গেলে, গরু থেকে কয়লা, বিভিন্ন পাচারের দুর্নীতির জট একসাথে খুলে যেতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রের তদন্তকারী টিম।
আপাতত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলতে যেতে হচ্ছে তিহার জেলে। দিল্লির আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে গরু পাচারকাণ্ডে।
অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরই ১২ জনকে তলব করেছিল ইডি। শোনা গিয়েছিল, তাঁদের অনুব্রতের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। সেই ১২ জনের তালিকায় নাম ছিল মণীশ কোঠারিরও।
তাবড় অফিসারদের প্রশ্নের মুখে পড়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে ফেললেন অনুব্রত মণ্ডল।