ভারতের সমতলের রাজ্যগুলির বিভিন্ন শহরে এখনও শীত পড়েনি। কিন্তু হিমাচল প্রদেশের ধরমশালার আবহাওয়ায় ইতিমধ্যেই শীতের ছোঁয়া লেগেছে। এর প্রভাব পড়ল ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে।
ঘন কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে গঙ্গাসাগর। কুয়াশার চাদর এতটাই গাঢ় যে মকর স্নানের জন্য সাগরের পথে এখনও কাকদ্বীপের লট ৮ ঘাটে এখনও আটকে রয়েছেন হাজার হাজার পূর্ণার্থী। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বারুইপুরে এবং ক্যানিং সেকশনে আটকে রয়েছে বহু লোকাল ট্রেন।
নতুন বছরের শুরু থেকেই শীতের দাপটে কাঁপছে রাজধানী। ডিসেম্বরের শেষ থেকেই শৈত্য প্রবাহ দিল্লীতে। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহতেও অব্যহত শীতের দাপট। ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার দিল্লীতে তাপমাত্রার পারদ নামল ৫ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এই বছর মিলিয়ে বিগত ১০ বছরে তৃতীয়বার জানুয়ারি মাসে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামল তাপমাত্রা। পাশাপাশি প্রবল কুয়াশার জেড়ে কমেছে দৃশ্যমানতাও।
গত সপ্তাহেই দিল্লির বেশ কিছু জায়গায় আড়াই ডিগ্রির নীচেও নেমেছিল তাপমাত্রা। শুক্রবার থেকে আরও কমতে থাকে রাজধানীর তাপমাত্রা। প্রবল শৈত্যপ্রবাহের জেরে দুষ্কর হয়ে উঠেছে বাড়ি থেকে বেরোনোও।
পুরু কুয়াশার দাপটে বাতাসের দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার ফলে আগরতলার মহারাজা বীরবিক্রম বিমানবন্দের নামতেই পারল না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিমান।
আজ সকালে ঘন কুয়াশার কারণে দিল্লির রাস্তায় যান চলাচলের ক্ষেত্রে রীতিমত সমস্যায় পড়তে হয়েছে। উল্লেখ্য আজ নৈনিতালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে দিল্লিতে পাঁচের ঘরে নেমেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বড়দিনের দিন সকাল থেকেই কুয়াশাচ্ছন্ন শহর। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার আকাশই দেখাবে কলকাতা।
শুক্রবার দোলের দিনে আকাশ পরিষ্কার শহর কলকাতায়। কিন্তু ভোর থেকে কুয়াশার চাদরে ঢেকে গিয়েছে পুরুলিয়া। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এই সকাল সাড়ে ৭ টায় এই মুহূর্তে শহরের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স।
ঘন কুয়াশার কারণে কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত। ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ে গেছে কলকাতার বিভিন্ন জায়গা। বাদ পড়েনি কলকাতা বিমানবন্দর সহ আশেপাশের এলাকা।