একের পর এই ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার এই প্রশ্নটা ওঠা খুবই স্বাভাবিক যে একের পর এক এই কেন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় বঙ্গোপসাগরে।
ওড়িশার বিশের ত্রাণ কমিশন প্রদীপ জেনা জানিয়েছেন এখনও পর্যন্কত ৬৮৮ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন ১৪ গর্ভাবতী মহিলা।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ পুরীর উপকূলবর্তী কোনও এলাকাতও আছড়ে পড়তে পারে। রবিবার বিকেলে পুরী উপকূলে আছড়ে পড়ার পরে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।
জাওয়াদ বাংলায় আছড়ে পড়ার আগেই একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। দিঘা উপকূলে সকাল থেকে চলছে মাইকিং। এছাড়া নিচু এলাকাগুলি থেকে ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থলভাগে ঢোকার পর খানিক শক্তি ক্ষয় হলেও ঘণ্টায় ১১০ কিমি বেগে বইতে এই পারে বিধ্বংসী ঝড়।
নবান্নের তরফে দেওয়া বিজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে এই ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়লে সাধারণ মানুষের কী করা উচিত।
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপ এখন সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ৩ ডিসেম্বর এই নিম্নচাপের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাওয়াদের ভয়াবহতা কতটা হতে পারে, কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে ও কেন্দ্র এর মোকাবিলা কী উপায়ে করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা চলে বৈঠকে।