ব্যাস বেসমেন্টে পুজো করার বারাণসী আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার আঞ্জুমান ব্যবস্থা মসজিদ কমিটির আবেদনের ওপর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়।
জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি এলাহাবাদ হাইকোর্টে বারাণসীর জেলা আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিল, যেখানে হিন্দুদের জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টে পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
দশাশ্বমেধ এলাকার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসিপি) প্রজ্ঞা পাঠক বলেছেন যে বারাণসীতে শুক্রবারের প্রার্থনার বিষয়ে নজরদারি রাখা হচ্ছে। স্পর্শকাতর এলাকায় ফ্ল্যাগমার্চ করছে পুলিশ।
আদালতের নির্দেশের পর রাজ্য ও মন্দির প্রশাসন সিল করা বেসমেন্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ব্যাস পরিবার তেহখানা এলাকায় প্রার্থনা শুরু করার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
হিন্দু পক্ষের আইনজীবী মদন মোহন যাদব বলেছেন যে জেলা জজ অজয় কৃষ্ণ বিশ্বেশের আদালত ব্যাস জির নাতি শৈলেন্দ্র পাঠককে বেসমেন্টে পুজো করার অধিকার দিয়েছেন।
সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, জ্ঞানবাপী একটি বিশাল হিন্দু মন্দিরও ছিল। মন্দিরের গঠন অযোধ্যায় নির্মিত রাম মন্দিরের মতোই। প্রবেশদ্বারের পরে, দুটি মণ্ডপ এবং গর্ভগৃহের কল্পনা করা হয়েছে।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট মঙ্গলবার রায় দিয়েছে যে, উপাসনার স্থান আইন অনুযায়ী, হিন্দু উপাসকদের দ্বারা মসজিদ প্রাঙ্গণে মন্দির পুনরুদ্ধার করার জন্য দায়ের করা দেওয়ানী মামলাগুলিতে কোনও বাধা নেই।
মসজিদ কর্তৃপক্ষ ১৯৯৩ সাবলে ব্যাস জি কা তেহখানা নামে পরিচিত বেসমেন্টটি ব্যারিকেড করে ঘিরে ফেলে। তারপর তাতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল।
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা ASI কাশী বিশ্বনাথ মন্দির সংলগ্ন জ্ঞানবাপী সমজিদ প্রাঙ্গনে একটি বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করছে
হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেছেন যে জ্ঞানবাপী মসজিদের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত 'বেসমেন্ট' বর্তমানে ব্যাস পরিবারের দখলে রয়েছে এবং তা অবিলম্বে ব্যাস পরিবারের দখল থেকে বারানসীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করা উচিত