বাংলার ঐতিহ্যের ঝলক উঠে এল দিল্লির কর্তব্য পথে। উল্লেখ্য গতবছরই বাংলার দুর্গাপুজাকে হেরিটেজের তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো।
এবারের পুজোয় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন না লালাবাগান নবাঙ্কুর। এই বছর তাদের পুজোর প্যান্ডেল তৈরির মূল উপাদান হল বাঁশের চটা। এই বছর এই পুজো কমিটি ৬৩তম পুজো বার্ষিকী। সেই উপলক্ষ্যে তারা একেবারে অন্য থিমের সাজেই পুজোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রতিবারের এবারেও তাই ভিন্ন ভাবনা নিয়ে ব্যপক প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রয়েছে কাঁকুড়গাছি মিতালী সংঘ সার্বজনীন দুর্গোৎসব। এই বছরে তাদের ভাবনা 'বার্তা পৌঁছবে বিশ্ব জনে'।
জোড়াসাঁকো ৭ এর পল্লীর পুজোয় দেখা মিলবে শিল্পী সন্দীপ সাহা-র কাজ। তাই এই বিপন্ন কলতান বা আমাদের বর্তমান প্রকৃতির দুরাবস্থার বিষয়ে বা প্রকৃতিকে সুস্থ রাখার বার্তা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে জোড়াসাঁকো ৭ এর পল্লী সার্বজনীন দুর্গোৎসব।
শিবমন্দিরের পুজোর ৮৬ তম বর্ষে সেই বিশ্বাসকেই তুলে ধরছে ক্লাব কমিটি। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি এই নশ্বর জীবনের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর। তিনিই মানুষের পাপ পুণ্য ন্যায় নীতির বিচারক। তাঁর আরাধনায় মানুষ তাঁকে কাছে পেতে চায়, আঁকড়ে রাখতে চায় বুকের কাছে। পুজো যায়-পুজো আসে।
১৯২৬ সালে পুজো শুরু হয়েছিল। এটি শহরের তৃতীয়তম প্রাচীন সর্বজনীন পুজো। স্বাধীনতার অনেক আগে শুরু হয়েছিল এই পুজো। অনুশীলন সমিতির হাত ধরে এই পুজোর সূচনা।
দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম সেরা পুজো গুলোর মধ্যে একটি সিকদার বাগান সাধারন দুর্গোৎসবের পুজো। প্রতিবারের মতই এবারও বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে তুলে ধরছেন আয়োজকেরা।
তৃণমূলের স্লোগান 'খেলা হবে' থিম করে এবার সাড়ম্বরে দুর্গা পুজো ভবানীপুরে। মাঠে উপর ছড়িয়ে রয়েছে ফুটবল,রয়েছে ফুটবল সংক্রান্ত নানা ছক, সবে মিলে বড় চমক দিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর দুর্গোৎসব সমিতি।