পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত বাংলা সাহিত্যকার তথা বাঙালির শৈশবের আনন্দের জাদুকর নারায়ণ দেবনাথ দ্বারা সৃষ্ট নন্টে ফন্টে চরিত্রটি পর্দায় জীবন্ত করে তুলতে চলেছে জালান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্মস।
নারায়ণবাবু ভালোবাসতেন নিজেকে কার্টুনিস্ট বা কমিকস আর্টিস্ট বলার চেয়ে "শিশু সাহিত্যিক" হিসেবেই পরিচয় দিতে। হাঁদা-ভোঁদাকে নিয়ে নারায়ণ দেবনাথের করা প্রথম কাজটির নাম ছিল 'হাঁদা ভোঁদার জয়'। আর সেই গল্পের বিষয়বস্তু ছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ। ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের পটভূমিকায় ১৯৬৫ সাল নাগাদ জন্ম নিয়েছিল "বাঁটুল দি গ্রেট"। তিনিই একমাত্র ভারতীয় কার্টুনিস্ট যিনি কার্টুনিস্ট হিসেবে ডি.লিট লাভ করেন।
দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন নারায়ণ দেবনাথ। বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন তিনি। গত ২৫ দিন ধরে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। ৯৮ বছর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এদিন সকাল ১০.১৬ মিনিটে মৃত্যু হয় বিশিষ্ট কার্টুনিস্টি নারায়ণ দেবনাথের। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সোমবার রাত পর্যন্ত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। এদিন সকাল থেকেই রক্তের চাপ কমে যায়। তারপর চিকিৎসকদের সকল চেষ্টার বৃথা করে তিনি চির বিদায় নেয়।
মঙ্গলবার সকালেই সব যুদ্ধ শেষ করে চিরনিদ্রায় প্রবাদ প্রতীম কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ। দীর্ঘ ২৫ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
হাঁদা, ভোঁদা, বাঁটুল, নন্টে, ফন্টে, কেল্টুদের রেখে চলে গেলেন স্রষ্টা নারায়ণ। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন চিত্র শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ও সমীর আইচের।
তথ্য সংস্কৃতি দফতরের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে বাঁটুল দি গ্রেট, হাঁদা ভোঁদা, নন্টে ফন্টে, বাহাদুর বেড়াল প্রভৃতি চরিত্রের স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথ সব বয়সের পাঠকের মনে চিরস্থায়ী আসন লাভ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১৩ সালে 'বঙ্গবিভূষণ' সম্মান প্রদান করে।
মঙ্গলবার সকালেই চলে গেলেন বিখ্যাত কার্টুনিস্ট। এদিন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সকাল ১০.১৬ মিনিটে।
শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি বিখ্যাত কার্টুনিস্ট (Famous cartoonist) নারায়ণ দেবনাথ (Narayan Debnath)। মাঝখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়েছিল। তবে ভেন্টিলেশনে (ventilation) দেওয়ার পর থেকে পরিস্থতির উন্নতি হয় বিখ্যাত শিল্পীর।
হাসপাতালেই পৌঁছে গেল পদ্মশ্রী সম্মান। সেখানেই এবার তুলে দেওয়া হল নারায়ণ দেবনাথের হাতে। এই বিশেষ মুহূর্তে রাজ্যের তরফে হাজির ছিলেন মন্ত্রী-বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস।