পূর্বাভাস বলছে, বুধবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় হতে পারে বর্ষণ। ভাইফোঁটার দিন রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আগামী ৩-৪ দিন বঙ্গে বৃষ্টি আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তিন জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
দক্ষিণবঙ্গে জারি করা হয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে এই ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার হতে পারে। তবে প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে ঝড়ের গতিবেগ।
দেশের আবহাওয়া দফতেরর পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী চার দিনের মধ্যে চার রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে থাকবে ঘন কুয়াশা।
দক্ষিণ আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ রয়েছে তামিলনাডু, পন্ডিচেরি এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে।
রবিবার বিকেলের মধ্যে উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এই ঘূর্ণাবর্তই উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয় বৃহস্পতিবার নাগাদ নিম্নচাপে পরিণত হবে।
সপ্তাহান্তে ছুটির আনন্দ ভেস্তে দিল দুর্যোগের ভ্রুকুটি। পরপর ৩ তিন ছুটি থাকায় বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল অনেকেরই। কিন্তু বাংলার উপকূলে অবস্থিত নিম্নচাপের জেরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দিঘা-মন্দারমণি উপকূলবর্তী অঞ্চলে। জারি হয়েছে সতর্কতাও।
একে পূর্ণিমার ভরা কোটাল তার উপরে নিম্নচাপ দোসর। দুয়ের মিলিত দাপটে নাজেহাল অবস্থা বঙ্কিমনগরবাসীর। দিনভর বৃষ্টির পাশাপাশি নদী বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে গ্রামে। প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় ভিটে মাটি ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নেওয়ার অবস্থা হয়েছে এলাকাবাসীর।
কলকাতা ও সংলগ্ন জেলায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের খবর শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। একই পরিস্থিতি থাকবে পূর্ব মেদিনীপুরেও। ১৩ তারিখ থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে।