আগামী কয়েক দিনধরেই দলের তরফে ৫০ জন এলাকাভিত্তিক কর্মসূচি পালন করবে। তাদের মূল কাজই হলে এলাকায় গিয়ে যেসব তৃণমূল নেতা কর্মীরা টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রতীকে দাঁড়িয়েছে তাদের বোঝানো। স্থির হয়েছে প্রস্তুতি বৈঠকে।
ভোটের মুখেই সাত বিজেপি নেতাকে দলবিরোধী কাজের জন্য বরখাস্ত করল বিজেপি। প্রত্যেক নেতাই টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে সামিল হয়েছিলেন।
গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মত কংগ্রেসের দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে। টিকিট না পেতে দলীয় নেতাদের ওপর ক্ষোভ। নির্দল প্রার্থী হওয়ার হুমকি কংগ্রেস নেতার।
জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি সুমন দাস আজিমগঞ্জ পুরসভার মহিলা সংরক্ষিত আসন ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তার স্ত্রী মৌমিতা সরকার দাসের টিকিট পেতে দলের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু দল তাকে প্রার্থী না করায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে জোড়া পাতা প্রতীকে স্ত্রীকে দলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামিয়ে দেন সুমন।
সোমনাথ কর্মকার সরাসরি ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও তিনি এখন ঝালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান পদের দাবিদার হওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এদিকে কংগ্রেসও ঝালদা পৌরসভা পাঁচটি আসন নিয়ে সেখানে বোর্ড গড়ার চেষ্টা করছে।
শেষে কিনা গোপাল ভাঁড় ভোট বাজারে? শুনতে খানিক অবাক লাগলেও এমনই চিত্র দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদে।
বারাসাত পৌরসভা দুই নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা টিকেন্দ্রনাথ সরকার নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্দল হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় প্রার্থী প্রত্যাহার করার জন্য শাসকদলের তরফ থেকে নেমে এসেছে হুমকি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি নেতাদের নাম ধরে ধরে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। অপরদিকে উত্তর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার জঙ্গিপুর ও ধুলিয়ান পুরসভার মোট ১১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নির্দল প্রার্থী। স্ত্রীর হয়ে হয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করছেন একসময়ের দাপুটে বিজেপি নেতা। বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে একটাই বার্তা দিচ্ছেন,বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেস সব দল ছেড়ে এবার নির্দলেই ভোট দিন।
নির্দল ইস্যুতে গত কয়েকদিন ধরেই ব্যাপক শোরগোল চলছে বাংলার রাজনৈতিক ময়দানে। এদিকে নির্দল হিসাবে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার না করায় অনেক তৃণমূল কর্মীকেই ইতিমধ্যেই দল থেকে ছাঁটাইও করা হয়েছে।