সতর্ক বিএসএফ জওয়ানদের প্রচেষ্টায় আরেকটি পাকিস্তানি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছে। পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ড্রোনের মাধ্যমে ক্রমাগত অবৈধভাবে মাদক ও অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।
রবিবার অর্থাৎ ১ অক্টোবর ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন এই এলাকায় একটি সন্দেহজনক ড্রোন দেখতে পায় বিএসএফ। এই ড্রোনের সাথে দুটি প্যাকেট আটকানো ছিল।
পাকিস্তানি সাংবাদিক হামিদ মীরের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী শরীফের উপদেষ্টা মালিক মোহাম্মদ আহমেদ খান চোরাচালানের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়াও, আহমেদ খান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য অর্থাৎ কাসুর থেকে এমপিএ।
চিনের সাংহাই থেকে এরকমই একটি ড্রোন উড়েছে। এরপর সেটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে পৌঁছায়। জানা গিয়েছে এই ড্রোন পাকিস্তানে এর আগে ২৮ বার উড়ান নিয়েছে। এরপর ওই ড্রোনটি ভারতের সীমা পেরিয়ে ঢুকতে শুরু করলে বিএসএফ সেটিকে গুলি করে ভূপতিত করে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা জানিয়েছেন, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এই ড্রোনগুলি পাঠিয়ে ভারতে অস্ত্র এবং মাদক পাচার করে থাকে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে ঘন কুয়াশার মধ্যে সীমান্ত গ্রামের বারেকার মাঠে হেরোইনের প্যাকেট ফেলে পাকিস্তান থেকে আসা ড্রোনটি ফিরছিল। সীমান্তে টহলরত বিএসএফ জওয়ানরা ড্রোনের শব্দ শুনে ছয়টি গুলি চালায়।
পাকিস্তান আক্রমণের জন্য ব্যবহৃত দেশীয় ড্রোন তৈরিতে ভারতের চেয়ে এগিয়ে গেছে, যার স্টিলথ ড্রোন 'ঘাতক' বর্তমানে DRDO দ্বারা পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চলছে এবং ২০২৫ সাল নাগাদ, ভারতীয় বিমান বাহিনী তার চূড়ান্ত সংস্করণ পেতে পারে।
পাঞ্জাব বর্ডারে পাকিস্থান উড়ানের ক্রমবর্ধমান কার্যকলাপ যেহারে বাড়ছে এবার তা রুখতেই এবার ভারতীয় সেনাবাহিনীও ব্যবহার করবে এক বিশেষ অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমের
বিএসএফ জানিয়েছে, ড্রোনটির ওজন প্রায় ১২ কেজি। বিএসএফ জওয়ানদের গুলিতে দুটি প্রপেলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ড্রোনটি একটি চালান বহন করছিল, যদিও বিএসএফ আধিকারিকরা চালানে কী ছিল সে সম্পর্কে কোনও বিশদ প্রকাশ করেননি।
কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি একটি তথ্য ভাগ করেছে যেখানে সেনাবাহিনী পাকিস্তানের পাঠানো ড্রোন সম্পর্কে ইনপুট শেয়ার করেছে। ইনপুটগুলিতে বলা হয়েছে যে সীমান্তে দেখা ১৯১টি ড্রোনের মধ্যে ১৭১টি পাঞ্জাব সেক্টরের পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে।