রবিবার অর্থাৎ ১ অক্টোবর ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন এই এলাকায় একটি সন্দেহজনক ড্রোন দেখতে পায় বিএসএফ। এই ড্রোনের সাথে দুটি প্যাকেট আটকানো ছিল।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে ঘন কুয়াশার মধ্যে সীমান্ত গ্রামের বারেকার মাঠে হেরোইনের প্যাকেট ফেলে পাকিস্তান থেকে আসা ড্রোনটি ফিরছিল। সীমান্তে টহলরত বিএসএফ জওয়ানরা ড্রোনের শব্দ শুনে ছয়টি গুলি চালায়।
সোমবার গভীর রাতে জম্মু জেলার ফালাইন মন্ডলের সীমান্ত এলাকায় একটি পুলিশ পোস্টের কাছে পাকিস্তানি ড্রোন দেখতে পাওয়া যায়। এই ড্রোন থেকে ফেলে দেওয়া দুটি টাইমার লাগানো আইইডি পাওয়া গেছে বলে ভারতীয় সেনার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সেনা রিপোর্ট জানাচ্ছে সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের তৎপরতার পর ভারতে অনুপ্রবেশের কৌশল বদলাতে হয়েছে পাকিস্তানকে। ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য পাকিস্তান এখন ড্রোনের আশ্রয় নিচ্ছে। ড্রোনের মাধ্যমেই পাকিস্তান উপত্যকায় সক্রিয় সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহ করে।
শনিবার সাতসকালে আকাশে জ্বলজ্বলে কিছু দেখতেই সন্দেহ হয় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর। কিছুক্ষণের মধ্য়েই বোঝা যায় যে, তা আসলে একটি পাকিস্তানী ড্রোন। আর এটা বুঝতেই আর দেরি করেনি বাহিনী।
একাধিকবার পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের সাহায্য করার জন্য অস্ত্র, গোলাগুলি ফেলে গেছে। কিন্তু এই প্রথম পাকিস্তানি ড্রোনের মাধ্যমে ফেলা হল রাসায়নিক। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলায় মৃত ২ ভারতীয়। সব মিলিয়ে ৩ জন মৃত ও ৬ জন আহত বলে জানা গিয়েছে।