পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এক নম্বর দল হয়ে উঠতে পারে বলেও মনে করছেন প্রশান্ত কিশোর। যদিও তৃণমূল প্রশান্ত কিশোরের এই ভবিষ্যৎবাণীকে পাত্তা দিতে নারাজ এবং তাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বাংলার মানুষের মন এখনো পড়ে উঠতে পারেননি প্রশান্ত কিশোর।
আসন্ন লোকসভায় বিজেপিকে ঠেকানোর ক্ষমতা কারোরই নেই। এমনকি বাংলাতেও যে জয়ের পাল্লা যে বিজেপির দিকেই ঝুঁকে রয়েছে, তা পিকে-র কথাতেই স্পষ্ট। তার মতে, বিরোধীরাই মোদীর জয়ের পথ আরও স্পষ্ট করে দিচ্ছে।
দেশের রাজনীতিমহল তাঁকে চেনে পিকে নামেই। তাঁর মুখেই উঠে এল বাংলার রাজনীতির ভবিষত্যের খসড়া! তাঁর কথা শুনে অন্তত তেমনই মনে হচ্ছে।
দেশের শাসকদল বিজেপির বিরোধী কিছু তরুণ নেতা বা মন্ত্রীদের সম্পর্কে মন্তব্য করতে শোনা গেছে প্রশান্ত কিশোরকে, সেই তালিকায় নাম রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।
বিহারের উন্নয়নের জন্য প্রশান্ত কিশোর কিছুই করেননি। বিহারের চম্পারণ থেকে তোপ দাগলেন প্রশান্ত কিশোর। শুক্রবার বিহারের মত রাজ্যগুলিতে মূল্যবৃদ্ধি ও শিল্পায়ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন।
বিহারের দুটি দলের জোটকে গত ১০ বছরে দ্বিতীয়বারের মতো 'রাজনৈতিক ব্যবস্থা' হিসাবে বর্ণনা করে, প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে । পাটনায় তিনি বলেন নীতিশ কুমার এই ধরনের রাজনৈতিক পালাবদলের জন্য দায়ি।
বিহারের বাসিন্দা তিনি। একাধারে একটা সময় বিহারের জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমারের ভোট কুশলী হিসেবেই কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর আর সেই কারণেই বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁর মতামত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের জল্পনাকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে কিশোর। তাঁর দাবি আগে মানুষের মন বুঝতে চান তিনি। সেই কাজই নাকি করবে তাঁর তৈরি নয়া প্ল্যাটফর্ম জন সূরজ।
এই পদযাত্রায় তাঁর মূল লক্ষ্য হবে সর্বাধিক মানুষের সঙ্গে কথা বলা, তাদের সুবিধা অসুবিধা বোঝা ও তাদের জন্য হাঁটা। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বিহারের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
শীঘ্রই নিজের রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে পারেন প্রশান্ত কিশোর। নিজের রাজ্য বিহার থেকেই রাজনৈতিক দলের সূচনা করতে পারেন বলে খবর।