প্রাথমিকে নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল চাকরিপ্রার্থীরা। ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি আদালতের।
‘ঝাঁকে ঝাঁকে চাকরি বিক্রি হয়েছে’, আদালতে মুখ খুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের মধ্যে আপাতত ৩২ হাজার জনের চাকরি বাতিল হচ্ছে।
তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁরাও ইতিমধ্যে যদি প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন তাহলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন বলেও জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
শিক্ষক সমিতির বক্তব্য, করোনার সময় থেকে সরকারি বিদ্যালয়ে ছাত্র-ভর্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ, রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্কুল স্থাপন না করে কম ছাত্র-যুক্ত স্কুলগুলিকে বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে বাগদার চন্দন মণ্ডল, ওরফে রঞ্জনকে। তাঁর সম্পত্তি কত ছিল এবং কাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল, সব খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক , ডাক্তার , নার্স সহ সমস্ত আধা সরকারি কর্মচারী সকলেই ভীষণভাবে বঞ্চিত। কেন্দ্র এবং অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় প্রায় ৩৮ শতাংশ ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্স বা মহার্ঘ্যভাতা কম পায় বলেও অভিযোগ সরকারী কর্মীদের।
প্রাথমিক শিক্ষা দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন যে অভিযোগরাদীদের দেওয়া তালিকার ১৩৯ জনের নম্বর খতিয়ে দেখে আদালতে পেশ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। আলোর দিশা দেখতে দেখতে পেল টেট উত্তীর্ণরা
শিক্ষার মানের ব্যাপক অবনমন ঘটেছে এবং সরকারি বিদ্যালয়গুলো দীর্ঘদিন ছাত্রছাত্রীর অভাবে ধুঁকছে। তাই বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী কম ছাত্র-ছাত্রী বিশিষ্ট বিদ্যালয়গুলোকে মার্জ করবার কথা ঘোষণা করেছেন বলে অভিযোগ করছে শিক্ষক সমিতি।
হাইকোর্টের চাকরি বাতিল মামলার শুনানি ১৮ নভেম্বর। যদিও তারই আগে নদিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষকদের কাজে ফেরাচ্ছে পর্যদ। তাদের কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকেও দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে ধরপাকড় চলে আন্দোলনকারীদের। প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সমাজের নানা স্তর থেকে। এবার প্রশাসনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।