তবে কালী পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, নভেম্বরের শুরু থেকেই শীতের আমেজে ভাসবে বাংলা। অক্টোবরের শুরু থেকেই হেমন্তের আমেজ অনুভব করতে পারে রাজ্যবাসী। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর আর কয়েকদিনের মধ্যেই বর্ষা বিদায় নিতে চলেছে এ রাজ্য থেকে।
বৃষ্টির আর দুর্গাপুজোর উৎসব একই সঙ্গে সমান্তরাল রেখা বরাবর চলেছে। ষষ্ঠী থেকে যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছিল তা দশমীর দিনেও অব্যাহত। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। একাদশী আর দ্বাদশীতেও বৃষ্টি হবে। তেমনই পূর্বাভাস দিয়ে রাখল আলিপুর হাওয়া অফিস।
হাতে আর সময় মাত্র তিন দিন। তারই মধ্যে শুরু হয়ে যাবে বর্ষা বিদায়ের প্রক্রিয়া। রবিবার ভারতের মৌসম ভবন জানিয়েছে,দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রত্যাহার আগামী সপ্তাহের শুরুতেই শুরু হতে পারে। চলতি বছর জুন মাস ছাড়া গোটা বর্ষাকালেই প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে।
বর্ষা থেমে গেলেও এখনও জলমগ্ন হাওড়া কর্পোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কোনা নস্করপাড়া এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ সুরাহার জন্য বারেবারে প্রশাসনের কাছে দরবার করেও কোনও সুরাহা হয়নি।
রাতের দিকে শীতের আমেজ অনুভব করা যাচ্ছে বঙ্গে। কুয়াশাও পড়ছে ভালোও। ভোরের দিকে কুয়াশায় ঢেকে থাকছে এলাকা। আর তার মধ্যেই আবার ঘূর্ণাবর্তের জেরে কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে।
২২ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে রাতের তাপমাত্রা প্রায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বলা যেতে পারে সময়ের আগেই শীত চলে আসছে।
পুজোর মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার ফলে তা আনন্দে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরেও অষ্টমী থেকে বৃষ্টি হতে পারে।
মঙ্গলবার আকাশ আংশিক মেঘলা শহর এবং শহরতলিতে। সাতসকালেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বর্ষণের পূর্বভাস দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায়।
৬ অক্টোবার থেকে পশ্চিম ভারত থেকে বর্ষা বিদায় নেবে, তারপর ধীরে ধীরে আমাদের বঙ্গ থেকেও বিদায় নেবে বর্ষা। ২ তারিখ থেকে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে বৃষ্টি বাড়বে, দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টি হবে।