মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ বিকানের ভবনের তিনতলার একটি অফিসে তল্লাশি শুরু করে সিআইডির অফিসারেরা। তবে অফিসটির তালা বন্ধ থাকায় প্রথমে ভিতরে ঢুকতে পারেননি সিআইডির গোয়েন্দারা।
আবারও এক রেল দুর্ঘটানর সাক্ষী রইল বাংলা। এবার লাইন চ্যুত হল বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। শনিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি জংশনেপর কাছে ডিজেল কারশেডে নিয়ে আসার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
অভিশপ্ত সেই বিকানের এক্সপ্রেসের এক আহত যাত্রী বলেন, তাঁর ভাইপো সহ মোট ২২ জন বিকানের থেকে কোচবিহার ফিরছিলেন। সকলে এস-১৩ কামরায় ছিলেন। দুর্ঘটনায় তিনি ও তাঁর মেয়ে পিঙ্কি গুরুতর ভাবে আহত হন।
দুর্ঘটনা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে দুমড়ে মুচড়ে যায় ট্রেনের বেশ কয়েকটি কামরা। কোনওটা আবার অন্য একটি কামরার উপর উঠে যায়। আর একটি কামরা লাইনচ্যুত হওয়ার পর পড়ে যায় জলে।
প্রশাসনিক বৈঠকের মাঝেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই দুর্ঘটনার খবর এসে পৌঁছয়। সঙ্গে সঙ্গে গোটা ঘটনার খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী।
এখনও পর্যন্ত হতাহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা না গেলেও আহত ও নিহতের সংখ্যা অনেক হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই হতাহতের উদ্ধার করার জন্য ইতিমধ্যেই ট্রেন পাঠানো হচ্ছে বলে খবর।
আড়াই বছরের কন্যা সন্তানের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বাড়ি আসছিলেন মেয়ের বাবা। বিকানের এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নিল পেশায় শ্রমিক রঞ্জিতের।