দেশের রাজনীতিমহল তাঁকে চেনে পিকে নামেই। তাঁর মুখেই উঠে এল বাংলার রাজনীতির ভবিষত্যের খসড়া! তাঁর কথা শুনে অন্তত তেমনই মনে হচ্ছে।
একদিকে বিজেপির ক্ষেত্র মজবুত করা, অন্যদিকে আরএসএস-এর সংগঠন পরিধি বাড়িয়ে তোলা…. দুই সংগঠনেরই এখন পাখির চোখ পশ্চিমবঙ্গ।
দ্য গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলনের একজন অন্যতম বিশিষ্ট নেতা অনন্ত মহারাজ। মঙ্গলবার অনন্ত মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।
অরুণাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ুর প্রতিটি এবং মহারাষ্ট্রের দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সব উপনির্বাচনের ভোট গণনা হবে ২ মার্চ।
মোদীর পর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অপর দুই প্রধান মুখ অমিত শাহ এবং জে পি নাড্ডার বঙ্গে আসার দিনক্ষণ ঠিক হলে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল দলের অন্দরে। কিন্তু, এবার তাও বাতিল হয়ে গেল।
সমস্ত দুর্বলতা এবং বিভিন্ন উপ-গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব কাটিয়ে দলকে কীভাবে মজবুত করা যাবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে রাজধানীতে আয়োজিত বৈঠকে।
বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচিতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি নেতাদের।
শেষ দফার নির্বাচনে বিজেপি যেভাবে ঘুঁটি সাজিয়েছে তাতে তারা হিন্দু ভোটের ঐক্যবদ্ধতা এবং দলিত ভোটকে তাঁদের অভিমুখে আনার চেষ্টা করেছে। যেমন বীরভূম জেলার ১১টি আসনেই বিজেপি দলিত ভোটব্যাঙ্ককে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পরে।
এই রাজ্যে গত এক দশকে বিজেপির ভোটশেয়ার বেড়েছে নজর কাড়া হারে। ২০১১ সালে তাদের ভোটশেয়ার ছিল মাত্র ৪ শতাংশ, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে তা বেড়ে হয় ১০ শতাংশ। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি পায় ১৭ শতাংশ ভোট আর ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে ৪০ শতাংশেরও বেশি।