আমন্ত্রিত অন্যান্য বিরোধী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা সহ গান্ধী পরিবারও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেন ভারতের রাজনীতিতে যখনই বিরোধী ঐক্যের কথা হবে, তখনই কংগ্রেসকে কেন্দ্রে রাখতে হবে। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার মুর্শিদাবাদে একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়ও রাজ্যের বকেয়া পাওনা নিয়ে কংগ্রেসকে দায়ী করেন।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবার প্রকাশ্যেই বিরোধী ঐক্যের সূত্রকে সমর্থন জানালেন। শুধু খাগড়েই নয়, শশী তারুর, মণীশ তিওয়ারির মতো কংগ্রেসী নেতারাও সাংসদে প্রকাশ্যেই বিরোধী ঐক্যের সূত্রে সহমত হন।
বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে এবার বিরোধী মঞ্চে ডাক পড়ল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। জানা যাচ্ছে মঙ্গলবারই দিল্লি যাত্রা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন এই পরিস্থিতিতে, প্রশ্ন হল সাধারণ নির্বাচনের আগে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির একটি শক্তিশালী জোট তৈরি হবে নাকি কংগ্রেসকে ছাড়াই তৃতীয় ফ্রন্ট রূপ নেবে। তা না হলে বিরোধীরা কি শুধু দুই মেরুতে বিভক্ত হয়ে এনডিএ-র বিরুদ্ধে লড়বে?
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আবারও বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল বিরোধী জোট। দীর্ঘ টালবাহানার পর ২১ জুলাই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়ে দেন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অনুপস্থিত থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির নেতাদের বৈঠক হয়েছিল সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে। দলীয় সূত্রের খবর কংগ্রেস নেতারা এখনও কেন্দ্রে নিজেদেরকেই প্রধান বিরোধী দল হিসেবে দাবি করে এসেছে।
২১ জুলাইয়ের পরেই দিল্লি যেতে পারেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দেখা করতে পারেন বিরোধী দলগুলির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে। সূত্রের খবর চার দিন থাকতে পারেন মমতা।