এদিন সেলিমের বক্তব্যের পরই মিনাক্ষী বুদ্ধদের ভট্টাচার্যের পাঠান বার্তা পাঠ করেন। তিনি প্রথমেই বলেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছিলেন ডিওয়াইএফআই-র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
শারীরিক অবস্থা অনেকটাই ভালো হওয়ায় তাঁর সঙ্গে কথাও বলেন বুদ্ধদেব। এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথাও বলেছেন দাশো শেরিং ওয়াংদা।
চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণে থেকেই সেরে উঠেছেন বঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে এখনও নজরদারির মধ্যেই রাখছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রের খবর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্য নতুন বাইপ্যাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত তিনি যে বাইপ্যাপটি ব্যবহার করতেন সেটি প্রায় সাড়ে তিন বছর পুরনো।
সোমবারই বৈঠকে বসেছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল বোর্ড। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত্য নেওয়া হয় আগামী বুধবার ছুটি দেওয়া হবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে।
সোমবার বৈঠকে বসবে বুদ্ধদেবের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল বোর্ড। সবকিছু ঠিক থাকলে ওইদিনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টা অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কেমন থাকবেন তার ওপরই সবকিছু নির্ভর করছে। অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধের পরে নতুন করে যদি সংক্রমণ না হয় তাহলেই ছাড় পাতে পারেন।
তবে কি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বাড়ি যেতে পারবেন বুদ্ধদেব? শনিবার এই নিয়েই বৈঠকও করে মেডিক্যাল বোর্ড।
একটু সুস্থ হতেই বাড়ি ফেরার আবেদন জানিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। তবে তখনও সংক্রমণ পুরোপুরি না কমায় হাসপাতালেই থাকতে হয় তাঁকে। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
গতকাল থেকে ভিজিটারদের সঙ্গেও টুকটাক কথা বলেছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে একটু সুস্থ হতেই বাইপ্যাপ সহ রাইলস টিউব খুলে ফেলতে চাইছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার আমও খেতে চেয়েছিলেন তিনি।