ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র নৌবাহিনীর অনেক ডেস্ট্রয়ারে মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে, নৌবাহিনীর নীলগিরি, শিবালিক এবং তালওয়ার শ্রেণীর ফ্রিগেটেও ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন রয়েছে।
গোবি বলেছেন যে ভারত ও আর্জেন্টিনার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ২০১৯ সালে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপে উন্নীত হয়েছে এবং তারপর থেকে উভয় পক্ষই প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব বাড়ানোর দিকে কাজ করছে।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত বছরের ডিসেম্বরে আইএনএস মুরমুগাও ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এই বিপজ্জনক যুদ্ধজাহাজটিকে ভারতীয় নৌবাহিনীর ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো প্রস্তুত করেছে।
প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের মতে, ভারতীয় নৌবাহিনীর ২০০টিরও বেশি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার প্রস্তাব চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং শীঘ্রই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অনুমোদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলটি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের একটি মাটির কেন্দ্রীক লঞ্চার থেকে ছোঁড়া হয়েছিল। তখন ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি গাইডেড মিসাইল কর্ভেড থেকে উরান অ্যান্টি-শিপ মিসাইল উৎপেক্ষণ করা হয়েছিল। আন্দামান নিকোবর কমান্ড বলেছে 'exNaval' জাহাজ বা ভারতের নৌবাহিনীর একটি পুরনো জাহাজকে এই পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
রাজনাথ সিং বলেছেন, 'আমরা যে ব্রহ্মোস ক্ষেপনাস্ত্র ও অন্যান্য অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করছি তা অন্য কোনও দেশকে আক্রমণ করার জন্য নয়। ভারতের নিরাপত্তার জন্য।'
ওড়িশার উপকূলে চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের বায়ু সংস্করণের সফলভাবে পরীক্ষা করে ভারত। ডিআরডিও-র সূত্র জানিয়েছে ব্রহ্মোস একটি দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্ষেপণাস্ত্র।
দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আগ্রাসনের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ফিলিপাইন। চিনের আগ্রাসন মোকাবিলা করার জন্য ফিলিপাইনের ন্য়াশানাল ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট ভারতের থেকে ব্রহ্মোস কেনার অনুমোদন দিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এনএনআই-এর খবর অনুযায়ী প্রথম দফায় বেশ কয়েকটি ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চেয়েছে ফিলিপাই। ইন্দো-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বলা হয়েছে। ভারতের কাছে এটি প্রথম বিদেশী অর্ডার।