কার্তিক মাসের শেষ দিনে সঠিকভাবে আচার-অনুষ্ঠান করলে উপবাসের পূর্ণ ফল পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেই কার্তিক মাসে উদযাপন করার পদ্ধতি ও গুরুত্ব।
চলতি বছর ২৯ জুন পড়েছে দেবশয়নী একাদশী। এই সময় থেকেই বিশ্রামে যাবেন বিষ্ণু। বিশ্রামের সময় শেষ হবে দেবউথনী একাদশীতে।
আষাঢ় মাসে জন্মগ্রহণকারীদের ওপর ভগবান বিষ্ণুর প্রভাব থাকলেও তাঁর কৃপা পাওয়ার জন্য বিশেষ কয়েকটি নিয়ম পালন করতে হয়। এই পাঁচটি সহজ নিয়ম প্রত্যেকদিন পালন করতে পারলেই জীবনে আসবে দারুণ সৌভাগ্য।
অপরা একাদশী অচলা একাদশী নামেও পরিচিত। অপরা একাদশী বা অচলা একাদশীর উপবাস করে এবং এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করলে মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। এর সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তির দুঃখ-কষ্ট দূর হয়, সে মোক্ষ লাভ করে।
আজ আমরা আপনাকে সেই ৫টি জিনিস সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, যা বছরের প্রথম দিনে বাড়িতে আনলে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সারা বছর বর্ষিত হতে থাকে। আসুন জেনে নিই সেই জিনিসগুলো কী কী।
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, গরুড় দেবতাদের সাথে যুদ্ধ করে তাদের কাছ থেকে অমৃতের পাত্র ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, ঋষি কাশ্যপের অনেক স্ত্রী ছিল যার মধ্যে দুইজন ছিলেন বনিতা এবং কদ্রু।
ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মী উভয়ই একে অপরের পরিপূরক। যে ব্যক্তি একসাথে তাদের আশীর্বাদ পায় সে খুব আলাদা হয়ে যায়। মা লক্ষ্মী সর্বদা ভগবান বিষ্ণুর সাথে বৈকুণ্ঠধামে থাকেন।
এই বিশেষ তিথিতে ভগবান বিষ্ণু ও ভগবান শিবের পুজো করা হয়। শিব পুরান অনুসারে এই দিন ভগবান শিব ভগবান বিষ্ণুকে সুদর্শন চক্র দিয়েছিলেন। এই দিন বিশেষ নিয়ম মেনে পুজো করুন। মিলবে বিষ্ণুর কৃপা।
এই মাসে ভগবান বিষ্ণু মৎস্য রূপে জলে অবস্থান করেন এবং তাঁর বামন অবতার পাটলায় থাকেন। তাই মানুষ গঙ্গার তীরে কল্পবাসও করে। কথিত আছে যে যারা কল্পবাস করেন তারা পুনর্জন্মের ফাঁদে পড়েন না। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে এই বছর ১০ অক্টোবর থেকে কার্তিক মাস শুরু হচ্ছে।
২৩ অগস্ট সকাল থেকে দুপুর ১২টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত সিদ্ধিযোগ আছে। ত্রিপুষ্কর যোগ রয়েছে ২৩ অগস্ট সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে শুরু করে ২৪ অগস্ট ৫টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত। এই দিন পালন করতে পারেন জ্যোতিষ টোটকা।