বিদেশ মন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার কীভাবে একের পর এক জোরালো সিদ্ধান্ত নেয়, তার বাস্তবায়ন ঘটায়। তা যত কঠিনই হোক না কেন, দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনও আপোষ কেন্দ্র সরকার কখনও করেনি ও করবেও না।
শনিবার থেকেই পাকিস্তান ও চিন আরব সাগরে এক সপ্তাহের জন্য মহড়া শুরু করবে। উত্তর আরব সাগরের পাশাপাশি এই এলাকার আকাশসীমাতেও মহড়া চলাবে দুই দেশ।
স্যাটেলাইট চিত্রগুলিতে স্পষ্ট যে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে, চিন সোনা জংয়ের ল্যাম্পুগের কাছে মোতায়েন করা তার সেনাকে লোন্টসে জংয়ের রিটাং-এ স্থানান্তরিত করেছিল।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর নর্দান কমান্ডের মাধ্যমে আয়োজিত নর্থ টেক সেমিনারে লাদাখ সেক্টরে এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর রুগ্ন ভূখণ্ডে অপারেশনের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর অধিগ্রহণ করা নতুন ধরনের অফ-রোড যানবাহন প্রদর্শন করা হয়েছিল।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, 'আজ আমরা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে চিনের তথাকথিত ২০২৩ সালের চিনের স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি।'
লং রেঞ্জ মিসাইল উইপন সিস্টেমে সজ্জিত চারটি হেরন মার্ক ২ ড্রোন উত্তর সেক্টরের ফরোয়ার্ড ঘাঁটিতে মোতায়েন করা হয়েছে। এই ড্রোনগুলো স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সক্ষমতায় সজ্জিত, সেক্ষেত্রে এগুলো অনেক দূর থেকে চালানো যায়।
জাতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে বিদেশমন্ত্রী বলেন, চীন তার সীমান্তে অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। তারা অবিলম্বে তাদের সীমান্তে সেনাবাহিনী নিয়ে আসতে পারে। আমাদের আগের সরকারগুলো সীমান্তে কাজ করেনি।
রাজনাথ সেখানেই শান্তি ও প্রশান্তির বার্তা দেন। তিনি বলেন শান্তি ও প্রশান্তির ভিত্তি শক্ত করার জন্য দুই দেশের সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ দিন আগে প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে এবং মোট ১৮০০ সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিশেষ বিষয় হল পুরো প্রশিক্ষণের উপর নজরদারি করছেন বর্ডার ডিফেন্স ব্রিগেডের সিনিয়র অফিসাররা।
গোয়েন্দাদের মতে, পাকিস্তানের উস্কানি ঘটলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত আগের চেয়ে বেশি সামরিক শক্তি দিয়ে জবাব দেবে বলে সম্ভাবনা রয়েছে।