১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের সেই দিনটি ছিল স্বাধীনতার নামে, সারা দেশে উদযাপন হয়েছিল, তবে দেশের এমন কিছু অঞ্চল ছিল যেখানে সেদিন উদযাপন করা হয়নি বা তেরঙ্গাও উত্তোলন করা হয়নি।
ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনাকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে আবারও বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার।মূল অভিযুক্ত ইউনিয়ন কার্বাইড থেকে আরও ক্ষতিপুরণ আদায়ের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
যশরাজ ফিল্মস জানিয়েছে যে এবার ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি নিয়ে ওয়েব সিরিজ তৈরি করবে তারা। তাঁদের নতুন ওয়েব সিরিজের নাম দ্য রেলওয়ে মেন।
১৯৮৪ সালের ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা (Bhopal Gas Tragedy)। এখনও ভারতের কাছে এক অভিশপ্ত দিন। ৩৭ বছর পরেও সেই ভয়ঙ্কর দিনটি পালন করা হয় জাতীয় দুষণ প্রতিরোধ দিবস (National Pollution Prevention Day 2021) হিসেবে। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের ২ তারিখে দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনটি পালন করা হয়। ২-৩ ডিসেম্বর রাতে ইউনিয়ন কার্বাইড ইন্ডিয়া লিমিটেডের কীটনাশন প্ল্যান্ট থেকে মিথাইল আইসোসায়ানেট গ্যাস লিক করেছিল। যার ভারতের ভয়ঙ্কর শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে আজও চিহ্নিত হয়ে রয়েছে।
১৯৮৪ সালের ২ ডিসেম্বর রাত ভুলতে পারবে না ভারত
সেই রাতেই ঘটেছিল ভোপালের মারাত্মক গ্যাস দুর্ঘটনা
আর সেই দিন থেকেই শুরু হয়েছিল আব্দুল জব্বার-এর সংগ্রাম
যা চলেছিল পরবর্তী তিন দশক ধরে, তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে পর্যন্ত
দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ৩৬ বছর। আজও পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়াবহ শিল্পদূষণের ফলে ঘটে যাওয়া অন্যতম দুর্ঘটনা হিসেবে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার কথা বলা হয়। ১৯৮৪ সালের ৩ ডিসেম্বর ইউনিয়ন কার্বাইডের কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস বেরোতে থাকে। মিশে যায় বাতাসে। দ্রুত হাজার হাজার মানুষ ভয়ঙ্কর শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন। সব মিলিয়ে ২০,০০০-এরও বেশি মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন সেদিন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের আইএলও-এর এক সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ১৯৮৪ সালে অন্তত ৩০ টন মিথাইল আইসো সায়ানেট গ্যাস বাতাসে মিশে গিয়েছিল ইউনিয়ন কার্বাইডের রাসায়নিক কারখানা থেকে। প্রায় ৬ লক্ষেরও বেশি কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। তিন যুগ পরে বিশাখাপত্তনমে রাসায়নিক কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাসের নিঃসরণ আবার সেই ঘটনাকেই মানুষের মনে তাজা করে দিল।