মহুয়া তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন যে তিনি নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। মহুয়ার এই বক্তব্যের পর পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি-র নেতারা তাঁকে মৌখিক আক্রমণ করেছেন।
ফেমা মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থাৎ ইডি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্র এবং ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে সমন জারি করেছে। দুজনকেই ২৮শে মার্চ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডাকা হয়েছে।
ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে। তা সত্ত্বেও সেই কৃষ্ণনগর থেকেই তাঁকে এবারও প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
গত বছরের ডিসেম্বরে, অনৈতিক আচরণের জন্য মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তিনি তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছেন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন তিনি।
লোকপাল বলেছে যে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে IPC-এর ২০৩(এ) ধারায় মামলা দায়ের করা উচিত এবং তদন্ত করা উচিত। এছাড়া ৬ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।
ডিসেম্বরের শুরুতে, লোকসভার সদস্যপদ হারানোর কারণে, মহুয়া মৈত্রকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাংলো খালি করার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
লোকসভা সচবিলয় সূত্রের খবর এখনও সিবিআইকে এথিক্স কমিটি কোনও রিপোর্ট দেয়নি। উল্লেখ্যে এথিক্স কমিটি ইতিমধ্যেই অভিযোগের তদন্তের সুপারিশ করেছে।
'অভিষেকের জন্য আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলাম। আমার সাথে দেখাই করতে আসল না।' বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। এই মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেছেন যে এই পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্ট মহুয়া মৈত্রের পিটিশনে কোনও রায় দিতে অস্বীকার করে। লোকসভার কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অনুমতি চাওয়া হয় মহুয়া মৈত্রের তরফে।
মহুয়া মৈত্রকে সংসদীয় এথিক্স কমিটিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে নগদ অর্থের বিনিময় প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলেছে, এর সম্পর্কে যথাযথ প্রমাণ দেওয়া হয়নি।