তৃণমূলের যে দুই নেতার নাম পোস্টারে লেখা হয়েছে, তারা হলেন পরিমল ধল ও উদয় রানা। এর মধ্যে পরিমল ধল সাতপাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।
গতকাল ১৩ দফা দাবি সম্বলিত মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয় আড়ষা থানার অন্তগর্ত চাটুহাসা, মুদালি, সিন্দুরপুর এলাকা থেকে। সাদা কাগজের উপর লাল কালিতে ছাপা ওই পোস্টারগুলিতে বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থান, ৩৬৫ দিনের কাজের সুবিধা, কৃষকদের ন্যায্য মূল্য প্রদান, পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করার দাবি জানানো হয়েছিল।
মাওবাদীদের শহীদ কমরেড রিমিল ও বিপ্লব-সহ একাধিক নেতার মৃত্যুর বদলা চেয়ে আজ বাগমুন্ডি থানার একাধিক এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়। পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলের বাঘমুন্ডী থানা এলাকায় মাওবাদী পোস্টারকে কেন্দ্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
শুক্রবার সকালে গ্রামের রাস্তায় একটি ও স্থানীয় ইটের গাদায় একটি পোস্টার দেখতে পান স্থানীয়রা। পোস্টার দুটিতে স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা জয়ন্ত দাসকে হুমকি দিয়ে লেখা রয়েছে, ‘জয়ন্ত দাস তোর দিন শেষ। তুই মরবি’। অন্যটিতে লেখা, ‘জয়ন্ত দাস তোর দিন শেষ। সাবধান।’ দু’টিতেই মাওবাদীদের উল্লেখ করা হয়েছে।
২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন মাও অধ্যুষিত জঙ্গলমহলের বরাবাজার, বান্দোয়ান, বলরামপুর, বাগমুন্ডি, আড়শা, ঝালদা, কোটশিলা এসব এলাকায় মাওবাদী পোস্টার দেওয়ার আশঙ্কা থাকলেও গতকাল কোথাও মাওবাদী পোস্টার চোখে পড়েনি।
বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যর দাবি শাসক দল তৃণমূল-কংগ্রেসের লোকেরাই এই কাজ করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া মফঃস্বল থানার পুলিশ।
পুলিশ সুপারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে এটা করা হয়েছে। যারা একাজ করেছে তারা খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে।
এই পোস্টারে বিজেপি-তৃণমূলের আঁতাঁতের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। তাই এর পিছনে বড় কোনও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
পুরুলিয়ায় মাওবাদী পোস্টার ঘিরে আতঙ্ক। তৃণমূল নেতাদের হুমকি দিয়ে ৭টি পোস্টার পড়েছে যা নিয়ে কিনারা করতে শুরু করেছে পুলিশ।